স্যাংগার ইনস্টিটিউট ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে একদল গবেষক এ গবেষণা করেছেন। তাঁরা ত্বকের অংশ থেকে সংগৃহীত কোষকে বিশেষ পদ্ধতিতে পরিবর্তিত করে নতুন স্টেম সেল তৈরি করেছেন। এই স্টেম সেলই যকৃতে সক্রিয় কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। গবেষকেরা ইঁদুরের ওপর এ পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন।
স্যাংগার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যালান ব্রাডলি বলেছেন, ‘রোগীর শরীরের ত্রুটিপূর্ণ জিনকে উদ্দেশ করেই এ পদ্ধতি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এটা আমাদের প্রথম ধাপ। কিন্তু যদি এ কৌশল পুরোপুরি চিকিত্সার জন্য নেওয়া হয় তাহলে রোগীদের জন্য আরও ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে।’
শরীরের প্রধানতম কোষ হলো স্টেম সেল। আর এই স্টেম সেলই হচ্ছে শরীরের অন্য সব কোষের মূল উত্স। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মাধ্যমে অন্ধত্ব, মেরুদণ্ডের সমস্যা ও অন্যান্য স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের চিকিত্সা সম্ভব হবে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাডভান্সড সেল টেকনোলজির রবার্ট লানজারের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল চামড়া বা রক্ত থেকে প্রাপ্ত স্টেম সেল (আইপিএস) এবং ভ্রূণ থেকে প্রাপ্ত স্টেম সেলের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা করে বলেছে, আইপিএস সেল খুব তাড়াতাড়ি মরে যায়। আর এটার বৃদ্ধিও খুব ধীরে হয়।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুডোভিক ভেলিয়ার বলেছেন, ‘প্রথম পদক্ষেপেই আমরা সেল থেরাপির মাধ্যমে যকৃতের সমস্যা সমাধান নিয়ে কাজ করেছি। এটাকে সফল করতে আমরা এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আছি।’
গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা যদি এ ক্ষেত্রে সফল হন তাহলে লিভার প্রতিস্থাপন জটিলতা ও ব্যয়ভার এবং সারা বছর ওষুধ নেওয়ার ঝামেলা অনেক কমে যাবে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক দলের সদস্য ডেভিড লোমাস বলেছেন, ‘আমরা যদি যকৃতে নতুন কোষ তৈরির জন্য রোগীর নিজের চামড়া কোষ থেকেই নিতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে যকৃত্ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা প্রতিরোধ করা যাবে।’ রয়টার্স। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment