সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলো আজ থেকে ঢাকের বাদ্যে মুখরিত হয়ে থাকবে। পূজারি ও ভক্তদের অন্তর উদ্বেলিত হবে দেবী মহামায়ার অধিষ্ঠানে। সবাই শামিল হবে পৃথিবীর সব আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় ও মানুষের কল্যাণ প্রতিষ্ঠার প্রার্থনায়।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের প্রধান সেবায়েত প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল নয়টা ৫৭ মিনিটে মূল প্রতিমায় দেবীর রূপ কল্পনা করে আট উপচারে ষষ্ঠী পূজা শুরু হবে। সন্ধ্যায় হবে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ষষ্ঠী পূজা অনুষ্ঠিত হবে মন্দির প্রাঙ্গণের বেলতলায়। এরপর দেবীকে মণ্ডপে বসানো হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই উৎসব দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সংহত করবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রমোদ মানকিন ও মহাসচিব নির্মল রোজারিও হিন্দুধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।
রাজধানীর মণ্ডপগুলোতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা প্রস্তুত। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপগুলোতে বসানো হয়েছে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা।
সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ গতকাল সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন। এর আগে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও অপসারণকারী দল মন্দির প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা মহড়া দেয়।
মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি বীরেশ চন্দ্র সাহা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি মহানগর পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকেরাও কাজ করবেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষের ৯৬১১৩৫৩ নম্বরে তা জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি পূজার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার ছুটি, বিসর্জনের জন্য ওয়াইজঘাট এলাকা থেকে আবর্জনা অপসারণ, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে।
এ বছর সারা দেশে ২৮ হাজারেরও বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে মণ্ডপসংখ্যা ১৯৯।
0 comments:
Post a Comment