অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা শত শত বছর ধরে কীটপতঙ্গ খেয়ে আসছে। কিন্তু এখন দেশটির বিশিষ্ট পতঙ্গবিদ স্কাই ব্ল্যাকবার্ন বিষমুক্ত পোকামাকড় উৎপাদন করে তা অস্ট্রেলীয় সব শ্রেণীর মানুষের কাছে বিক্রি করছেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান বা শিশুদের উৎসবে খাবারে বাড়তি আকর্ষণ জোগাচ্ছে পোকায় তৈরি খাবার।
ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘পোকামাকড় খাওয়াটা সম্পূর্ণ নতুন একটি বিষয়।’ তাঁর পোকামাকড়ের একটি দোকান রয়েছে। সিডনি-ভিত্তিক এই অনলাইন প্রতিষ্ঠানটি মানুষ ও গবাদিপশুর খাবার হিসেবে কীটপতঙ্গ বিক্রি করে আসছে। তিনি বলেন, ‘বাবা দিবসে আমরা পোকা দিয়ে তৈরি খাবারে ভরা প্রচুর উপহারের বাক্স বিক্রি করেছি। এসব বাক্সে পোকামাকড় মোড়ানো চকোলেট, চকোলেট মোড়ানো কীট ও পোকামাকড় মেশানো ললিপপ রয়েছে।’
ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘আমরা বন্য প্রাণী পুষছি এবং তা রপ্তানি করছি। এখন আমাদের এমন কিছু বিক্রি করা দরকার, যাতে লোকজন দোকানে আসতে বাধ্য হয়। তাই আমরা ললিপপ উৎপাদন শুরু করেছি। এতে আমরা সত্যিই সফল।’ তাজা পোকামাকড়ের পাশাপাশি হিমাগারে সংরক্ষিত ও ভাজা পোকামাকড়ও বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ঝিঁঝি পোকা ভাজলে বা এর ঝোল রাঁধলে লোভনীয় সৌরভ ছোটে। ঝিঁঝি পোকায় উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম আছে। আর ঘুণপোকায় আছে লৌহজাতীয় উপাদান। তিনি বলেন, পোকামাকড় গিলে ফেলাটা একটু কঠিন। কিছু মানুষ এখনো মেনে নিতে পারছে না যে, তারা পোকামাকড় খাচ্ছে। এ জন্য টুকরো টুকরো করে অন্য খাবারের সঙ্গে পোকামাকড় মিশিয়ে দেওয়া হয়। রয়টার্স।
0 comments:
Post a Comment