সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
গৃহবধূ’ নয়, ‘ঘরে থাকা মা
বদলে গেছে দিন। বদলে গেছে সময় এবং সংসারের
চরিত্রও। দম্পতির ভাবনা-চিন্তাতেও যথেষ্ট বদল এসেছে। বিশেষ করে শিক্ষিত
মহিলাদের ভাবনাগুলো যুগের সাপেক্ষে বদলে গেছে অনেকটাই। তাঁদের চোখে সংসার
এখন কেবল দায়িত্ব পালনের জায়গা নয়, অধিকার আর সম্মানেরও জায়গা। আর তাই সন্তান প্রতিপালনসহ সংসার চালান যে মায়েরা, তাঁদের ‘গৃহবধূ’ বলা যাবে কি না, সে প্রশ্নটাও ইউরোপে উঠে এসেছে সংগতভাবেই।
এর পেছনের সামাজিক ইতিহাসটাও বিবেচনার দাবিদার। সোয়া দুই শ বছর আগেও সারা বিশ্বে
ভাবা হতো ‘স্ত্রী সামলাবেন সন্তানসহ সংসারের অন্দরমহল, আর স্বামী যাবেন
উপার্জনে।’ সে কারণেই স্ত্রীর কাজের ধরনের জন্য তাঁর পেশাটাকে বলা হতো
‘হাউসওয়াইফ’, বাংলায় বললে ‘গৃহিণী’ বা ‘গৃহবধূ’ বা ‘কুলবধূ’।
আদিকালে
নারীরা সংসার ও সমাজের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর থেকে সে সময় পর্যন্ত চলছিল
এমনভাবেই। কিন্তু আঠারো শতকের শেষার্ধে ইউরোপে প্রথম এল পরিবর্তন। যন্ত্র
সভ্যতার বিকাশ ঘটার পর নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ইউরোপজুড়ে শুরু
হয় নারীর অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই। কেবল সংসার সামলানো ও সন্তান পালন নয়,
লাখ লাখ নারী ঘর ছেড়ে বের হন উপার্জনের উদ্দেশ্যে। দ্রুতই কর্মক্ষেত্রে
প্রতিষ্ঠা পান নারী। সারা বিশ্বেই এর অনুরণন ঘটে।
নারীর
সেই সংগ্রাম এখনো চলছে ঘর থেকে ঘরে। শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে
পুরুষদের সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা যেমন চলছে, একই সঙ্গে চলছে সংসারে অধিকার,
সম্মান আর মর্যাদা পাওয়ার লড়াই। সংগত কারণেই সংসারজীবনের ধারণাগুলোও
অনেকাংশে পাল্টে গেছে। এখনকার নারী আর মনে করেন না_সংসারের সব কাজ একা
তাঁকে বয়ে বেড়াতে হবে। উদারপন্থী পুরুষদের সহযোগিতায় সংসারে চালু হয়েছে
‘শেয়ারিং ও কেয়ারিং’ পদ্ধতিতে ভাগাভাগির দায়িত্ব পালন।
এ
অবস্থায় ইউরোপের শিক্ষিত নারীদের কাছে ‘হাউসওয়াইফ’ বা ‘গৃহিণী’ বা
‘গৃহবধূ’ হিসেবে ভাবাটা কতটা সমীচীন এবং নারীরা এ বিষয়টি কিভাবে নিয়েছেন তা
নিয়ে ব্রিটেনে সম্প্রতি একটা জরিপ করা হয়। দুই হাজার বিবাহিত মহিলা এই
জরিপে অংশ নেন। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি এঙ্প্রেসে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী,
একালের মায়েরা ‘গৃহবধূ’র তকমাটা নিজেদের জন্য মেনে নিতে নারাজ। কাজের ধরন
অনুযায়ী এই পদবিটার মাধ্যমে তাঁদের ‘বিদ্রূপ’ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন
তাঁরা। জরিপে অংশ নেওয়া মায়েরা বলেন, সংসারে গৃহবধূ বা ঘরের বউ বলা হয়
তাঁদের, অথচ ঘরের কাজের বাইরেও সন্তান প্রতিপালনের মতো বিশাল দায়িত্ব পালন
করেন তাঁরা। কিন্তু, এই পদবিটাতে মাতৃত্বের বিষয়টাকে পুরোপুরিই অবজ্ঞা করা
হয়েছে। অনেকে আবার বলেন, বর্তমানে ঘরের কাজে সুযোগ মতো স্বামীরাও তাঁদের
সাহায্য করে থাকেন। ফলে সংসারের সব কিছু একা সামলানো_এটাও বলা যায় না।
তাহলে তাঁদের জন্য পছন্দসই ডাকটা কী হওয়া উচিত? জরিপে জানা গেছে, বেশির ভাগ
মা পছন্দ করেন ‘ঘরে থাকা মা’ (ংঃধু ধঃ যড়সব সঁসং) পদবিটি। দায়িত্ব পালন
এবং যুগের বাস্তবতার নিরিখে সংসার সামলানো মায়েদের এই পদবিটা দেওয়াই যায়।
আমাদের দেশেও পদবিটা এখন কেবল চালু করারই অপেক্ষা। পাঠক, দ্বিমত না থাকলে
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আপনি এটা বলা বা লেখা শুরু করুন। বিষয়টা আলোচনা করুন।
দেখবেন, অল্পদিনেই ঘর সামলানো মায়েদের যথাযথ সম্মান দিতে আর কার্পণ্য করছেন
না কেউ।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- 10 Surprising Facts About Headaches
- EARN MONEY ONLINE
- গীতা সারাংশ
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- Free Web Hosting Sites
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
Popular Posts Last 7 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- গীতা সারাংশ
- EARN MONEY ONLINE
- 10 Surprising Facts About Headaches
- Free Web Hosting Sites
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment