শস্যকণা থেকে তৈরি খাবারে বেশি পরিমাণে অাঁশ থাকে, যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। সুইডেনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী দিনে ২৫ গ্রামের বেশি অাঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন, তাদের এ ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। তাই কার্বোহাইড্রেটযুক্ত শস্যকণা থেকে তৈরি খাবারগুলো হলো- রুটি, পানি বা দুধে যব মিশিয়ে তৈরি খাবার, বাদামি চালের ভাত এবং ময়দা, ডিম ও পানি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে। ফলমূল ও শাকসবজি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ রঙিন ফলমূল ও শাকসবজি দেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে। চলতি বছর চীনে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খান, তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম। ক্যান্সার প্রতিরোধে ইদানীং কিছু বিশেষজ্ঞ প্রতিদিন খাবারের তালিকায় অন্তত ১০ ধরনের ফলমূল ও সবজি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন এক গ্লাস তাজা ফলের জুস, মাঝারি আকারের একটি কমলা অথবা ১২টি আঙ্গুর খাওয়া ভালো।
গবেষকেরা বলছেন, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলোর বিভাজন এবং এসব কোষের বৃদ্ধি রোধ করে ভিটামিন ‘ডি’। দুগ্ধজাত খাবারগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর মধ্যে ডিম ও তেলসমৃদ্ধ মাছ অন্যতম। অতীতে দেখা গেছে, স্তন ও মূত্রথলির ক্যান্সার সৃষ্টিতে দুগ্ধজাত খাবারের একটা ভূমিকা থাকত। কিন্তু আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের সমপ্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার যেমন- ননীমুক্ত দুধ, বাড়িতে তৈরি পনির ও ঘোল জাতীয় খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। তাই গবেষকেরা প্রতিদিন এক গ্লাস করে ননীমুক্ত দুধ এবং সপ্তাহে কয়েক বেলা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সূর্যের আলোতেও ভিটামিন ডি আছে। গবেষকেরা বলছেন, তাই দিনে অন্তত ১৫ মিনিট এ আলোয় কাটানো শরীরের ত্বকের জন্য উপকারী।
নারীদের শরীরে বিশেষ হরমোন এস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে গেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। ঝুঁকি এড়াতে তাই প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে তেলযুক্ত মাছ যেমন- স্যামন, রেখাঙ্কিত সামুদ্রিক মাছ বা টুনা মাছ খাওয়া দরকার।
শিম ও ডালজাতীয় শস্য যেমন- মসুর ডাল, মটরদানা ক্যান্সার প্রতিরোধক আশে ভরপুর। যারা প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে চার বেলা শিম খান, তাদের টিস্যু ক্যান্সারের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কমে যায়। ডেইলি মিরর।
0 comments:
Post a Comment