এদিকে মিসরাতায় এনটিসির সেনা সূত্র জানিয়েছে, দাফনের উদ্দেশ্যে মাংস রাখার হিমঘর থেকে গাদ্দাফি ও তাঁর ছেলে মুতাসিমের মরদেহ গতকাল সোমবার রাতে সরিয়ে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করে গতকাল সোমবার এনটিসির এক কর্মকর্তা জানান, গাদ্দাফিকে আজ মরুভূমির অজানা একটি স্থানে সাধারণভাবে সমাহিত করা হবে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মরদেহের এমন অবস্থা হয়েছে যে তা আর রাখা সম্ভব নয়।
কয়েক দিন আগে এনটিসির এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গাদ্দাফির দাফনের সময় মাত্র চারজন প্রত্যক্ষদর্শী থাকবে। দাফনের স্থানের নাম প্রকাশ না করার ব্যাপারে এই প্রত্যক্ষদর্শীরা কোরআন ছুঁয়ে শপথ করবেন।
গাদ্দাফির সবচেয়ে আলোচিত ছেলে সাইফ ইসলাম এনটিসির হাতে আহত অবস্থায় আটক রয়েছেন বলে এত দিন বলা হচ্ছিল। তবে এখন বলা হচ্ছে, তিনি নাইজার ও আলজেরিয়ার সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছেন।
গত বৃহস্পতিবার জন্মস্থান সিরত শহরে জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) যোদ্ধাদের হাতে আটক হন গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে মুতাসিম ও সাবেক সেনাপ্রধান। এরপর তাঁদের হত্যা করা হয়। গতকাল সোমবার পর্যন্ত মিসরাতা শহরের কাঁচাবাজারের একটি হিমঘরে তাঁদের লাশ পড়ে ছিল।
0 comments:
Post a Comment