
১৩ জনের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), শাহজাহান আলী (৩০), আবু বকর (৩৫) ও শফিয়ার রহমান (৫০)। তাঁদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা হলেন নেছার উদ্দিন (২৮), আহেদ আলী (২৮), রবিউল ইসলাম (৩২), রকিবুল ইসলাম (৩৫), সাজু মিয়া (২৮), মানিক চন্দ্র রায় (৩৫), কাজী আসাদ (৩৫), মনিস চন্দ্র রায় (২৮), বাবলু মিয়া (২২)।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বলেন, বেলা একটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বাঘের আক্রমণে ১৩ জন ব্যক্তি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন নিয়ে হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য আসেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের ককোয়াবাড়ী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় মাথাভাঙ্গা এলাকার বাঘটি জগেবড় ইউনিয়নের মহাম্মদপুর গ্রামের একটি ধানখেতে লুকিয়ে ছিল। দুপুর ১২টার দিকে ওই ধানখেতে বাঘটিকে লুকিয়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের সবাই বাঘের হামলায় আহত হন। বাঘের হামলায় গ্রামবাসী আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আরও লোকজন বাঘটিকে মারার জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই ধানখেতের আশপাশে অবস্থান নেয়। এ সময় তারাও বাঘের আক্রমণের শিকার হন। এভাবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত বাঘের হামলায় ১৩ জন আহত হন। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতে গ্রামবাসী বাঘটির ওপর হামলা চালায়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তারা বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হারুন-অর-রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বাঘের আক্রমণে মহাম্মদপুরের বাসিন্দারা আহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গ্রামবাসী আক্রমণ চালিয়ে বাঘটিকে হত্যা করেছে। prothom alo
0 comments:
Post a Comment