সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
ইন্টারনেটে আসক্তি কমাতে
নেশা মানেই শুধু মদ বা মাদক নয়, ঘণ্টার পর
ঘণ্টা ধরে ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করলেও এমন নেশা হয়ে যেতে পারে, যা থেকে
নিস্তার পাওয়া কঠিন৷ তবে এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে৷
জার্মানিতে নাকি প্রায় ৫ লাখ মানুষ ইন্টারনেটের নেশায় বুঁদ হয়ে আছেন৷ অর্থাৎ
লটারির নেশা যাদের রয়েছে, তাদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি এই সংখ্যা৷ তবে
ইন্টারনেটের নেশায় কে ঠিক কতটা আসক্ত রয়েছে, তার মধ্যে হেরফের রয়েছে৷
তাছাড়া নির্ভরযোগ্য তথ্য-পরিসংখ্যান না থাকায় এক্ষেত্রে গবেষণাও এখনো
পরিণত অবস্থায় পৌঁছয়নি৷
তবে জার্মানির
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে মোটেই হাল্কাভাবে দেখছে না৷ তাই আধুনিক
যুগের এই শক্তিশালী মাধ্যমের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তারাও তথ্য
সংগ্রহ করতে আসরে নেমেছে৷ যেসব মানুষ ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছেন বলে
সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের আপাতত টেলিফোনে কিছু প্রশ্ন করা হচ্ছে৷ বিজ্ঞানীরা
ভেবেচিন্তে প্রশ্নগুলি স্থির করছেন৷
তাদেরই
একজন হান্স-ইয়ুর্গেন রুম্ফ৷ তিনি জানালেন, ‘‘যেমন আমরা জানার চেষ্টা করি,
স্কুলে বা পেশার ক্ষেত্রে সামাজিক কার্যকলাপ খুব কম কি না৷ এটা অত্যন্ত
জরুরি একটা বিষয়, কারণ এই ধরণের মানুষের ক্ষেত্রে আসক্তি মারাত্মক আকার
ধারণ করে৷ তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়৷ আমরা শুধু জানি যে এই গোষ্ঠীর মধ্যে
ইন্টারনেটে আসক্তির আশঙ্কা বেশি৷ তবে সেই আসক্তির মাত্রা সম্পর্কে আমাদের
এখনো স্পষ্ট ধারণা নেই৷”
আসক্তি সংক্রান্ত গবেষকরা এই ধরণের মানুষের একটা চিত্র স্থির করেছেন৷
যেকোনো সময় এদের দেখলেই মনে হয় এরা বড় ক্লান্ত৷ পোশাক-আশাক সম্পর্কে তারা
উদাসীন, শরীরের যত্ন নেয়ার কোনো লক্ষণও দেখা যায় না৷ এদের ঘরে চারিদিকে
পিৎসা’র খালি বাক্স পড়ে থাকে৷ আশেপাশে কী হচ্ছে, তা নিয়ে এদের মাথাব্যথা
নেই৷ কিছু বললে উল্টে চটে যেতে পারে৷ যারা মদের নেশায় চুর হয়ে থাকে, তাদের
কাছ থেকে মদের বোতল কেড়ে নেয়া যায়৷ কিন্তু ইন্টারনেটে আসক্ত মানুষের
ক্ষেত্রে তা করা যায় না৷
রুম্ফ এবিষয়ে বললেন, ‘‘আমার মনে হয়
ইন্টারনেট এমন এক মাধ্যম, যা পেশাগত কারণেও আমাদের প্রয়োজন হয়৷
ইন্টারনেট’কে এমন সব কাজে লাগানো হয়, যা মোটেই আসক্তির কারণ হতে পারে না৷
অ্যালকোহলের দাম বাড়িয়ে আসক্ত মানুষের নাগালের বাইরে রাখা যায় বটে, কিন্তু
ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এই কৌশল চলতে পারে না৷”
জার্মান
সরকারের মাদকাশক্তি মোকাবিলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানালেন, সরকারের
পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের
বিভিন্ন সুফল ও কুফল তুলে ধরা হয়েছে৷ অর্থাৎ যারা নিজের অজান্তেই
ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়তে পারে, তাদের আগেভাগেই সতর্ক করে দিতে
উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার৷ তাছাড়া আসক্ত মানুষদের জন্য বিশেষ চিকিৎসারও
ব্যবস্থা রয়েছে৷ তাদের পুরোপুরি ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখা হয় না, বরং
ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ চাপানো হয়৷ যেমন তাদের গেমস খেলতে দেওয়া
হয় না বা বিশেষ কিছু কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখা হয়, যা তাদের আটকে রাখতে
পারে৷
জার্মানিতে সাম্প্রতিক সমীক্ষায়
আশ্চর্যজনক ফলাফল পাওয়া গেছে৷ যেমন প্রায় ১৫,০০০ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
মধ্যে ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে সমবয়সী ছেলেদের তুলনায় প্রায় ৫
শতাংশ বেশি আসক্তি লক্ষ্য করা গেছে৷
সমস্যাটা
জার্মানির একার নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও এবিষয়ে নানারকম ভাবনা-চিন্তা চলছে৷
গবেষকরা বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসাগত দিক থেকে এমন এক কাঠামো সৃষ্টি করার চেষ্টা
করছেন, যার আওতায় এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়৷ রাতারাতি কোনো সাফল্যের
আশা না করলেও দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে এক্ষেত্রে উন্নতির আশা করছেন
হান্স-ইয়ুর্গেন রুম্ফ৷
তিনি বললেন,
‘‘আমরা নেদারল্যান্ডস’এর গবেষকদের সঙ্গে মিলে মূল্যায়ন করেছি৷ সবাই
এক্ষেত্রে একটি সাধারণ মানদণ্ড সৃষ্টি করতে আগ্রহী৷ তবে এটা সময়ের প্রশ্ন৷
আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে সমস্যা
সনাক্ত করতে পারি৷” সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বার্তা২৪ ডটনেট/এসএফ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment