কিন্তু আজ আর সেই মধুর সম্পর্ক নেই। তিক্ততা তৈরি হয়েছে এ দুই বিতর্কিত লেখকের মধ্যে। দুজনেই জড়িয়েছেন বিবাদে। তবে এ বিবাদ সরাসরি নয়, হয়েছে খুদে ব্লগ লেখার সাইট টুইটারে।
বাংলাদেশের লেখক তসলিমা গত বুধবার তাঁর টুইটার বার্তায় লিখেছেন, রুশদি টুইটারে অনুসারী সংগ্রহের জন্য ভিক্ষা করছেন এবং নারীদের পেছনে ছুটছেন। তিনি লেখেন, ‘টুইটারে তাঁর অনুসারী হওয়ার জন্য সালমান রুশদি প্রত্যেকের কাছে আবেদন করছেন। ১০ লাখ অনুসারী না হলে তিনি বিব্রত হবেন।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক রুশদি (৬৪) সম্প্রতি টুইটারে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তসলিমা এ মন্তব্য করলেন। রুশদি ১৫ সেপ্টেম্বর টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন।
তসলিমা আরও লেখেন, ‘সালমান রুশদি সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। তিনি মেয়েদের তাঁর ভোগের পরিধিতে পেতে চাইছেন।’
তসলিমার এ টুইট ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেক অনুসারীই এর তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছেন।
তসলিমার টুইট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রুশদির জবাব পাওয়া যায়। তিনি লেখেন, ‘দূর থেকে আমার সম্পর্কে তসলিমা নাসরিনের হিংসুটে ম্যাও শুনতে পেলাম। টুট, টুট, তসলিমা, শেম, লজ্জা।’
রুশদির নাম সরাসরি উল্লেখ না করে কামুক পুরুষদের সম্পর্কে তসলিমার মন্তব্য, ‘কামুক লোকজন হলো অসমাদৃত, ঘৃণিত, তারা নিজের গুণে নিজেই মুগ্ধ। তারা যত দিন নারীদের চেয়ে নিজেদের সুদর্শন মনে করবে, তত দিন তারা পৃথিবীতে যেকোনো কিছু করতে পারে।’
রুশদির টুইটের জবাবে তসলিমা বলেন, ‘বড় লেখকদের বড় মন হওয়া উচিত। হিংসা করার মতো কিছুই ঘটেনি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টুইটারে রুশদির ২২ হাজার অনুসারী ছিল আর তসলিমার ১৬ হাজার।
রুশদির অ্যাকাউন্টটি তিনি নিজে নাকি অন্যকেউ পরিচালনা করছেন, তা নিয়েপ্রথমে সন্দেহ ছিল।পরবর্তী সময়ে গত মঙ্গলবার টুইটার বিষয়টি নিশ্চিত করে।এর পরই রুশদি টুইটারে তাঁর জীবনবৃত্তান্ত পাল্টে ফেলেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।