ঈশ্বর কণা অস্তিত্বশীল নাকি অস্তিত্বহীন এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেননি গবেষকরা। একবার খবর রটেছিলো, ঈশ্বর কণার খোঁজ পাওয়া গেছে। কিন্তু তা ছিলো নিছকই গুজব। সে সময় সার্ন-এর গবেষকরা এ কণার অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে, সম্প্রতিই গবেষকরা ঠিক উল্টো তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ঈশ্বর কণার কোনো অস্তিত্বই নেই। এ দুই মতের গবেষকদের টানাপোড়েনের মধ্যেই চলতি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে মুখ খোলার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মিল্যাব রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা।
উল্লেখ্য, ফার্মিল্যাব রিসার্চ সেন্টারে গবেষকরা সার্নের তৈরি লার্জ হার্ডন কোলাইডারের মতোই টেভাট্রন কোলাইডারে ঈশ্বর কণার খোঁজ করছিলেন।
জুলাই মাসে গবেষকরা বলেছিলেন, ‘হয়তো মাহেন্দ্রক্ষণ খুব কাছেই। আমরা শিগগিরই সুসংবাদ দেবো’।
১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সুইস-ফ্রেঞ্চ সীমান্তে মাটির নীচে অবস্থিত লার্জ হার্ডন কোলাইডারে যে বিগ ব্যাং ঘটানো হয়েছে তারই ফল বিশ্লেষণ করে এ কণার অস্তিত্ব পাওয়া যাবে বলে গবেষকরা কাজ করছেন ।
স্কটল্যান্ডের পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস এর নামে নামকরণ করা হিগস বোসন কণাটি এখনো অনাবিষ্কৃত। তিনি ১৯৬৪ সালে শক্তি হিসাবে এমন একটি কণার ধারণা দেন যা বস্তুর ভর সৃষ্টি করে। আর যার ফলে সম্ভব হয় এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির। এ কণাটিই ঈশ্বর কণা নামে পরিচিতি পায়।
কীভাবে পদার্থ তৈরি হয় সে বিষয়টি জানতে এই কণার খোঁজে জেনেভার নিকটস্থ ভূগর্ভে ২০১০ সালে মিনি বিগ ব্যাং ঘটিয়েছিলেন গবেষকরা।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/
0 comments:
Post a Comment