মানসিক চাপে পাকে চুল

মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ চুল। সাধারণত এর রং কালো হলেও দেশভেদে ভিন্নতা রয়েছে। আবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের রঙে পরিবর্তন আসে। এটা প্রথমে ধূসর, পরে সাদা হয়ে ওঠে। এই সাদা চুলকে প্রচলিত ভাষায় বলা হয় ‘চুল পেকে যাওয়া’। এবার বিজ্ঞানীরা বলছেন, অধিক মানসিক চাপে কম বয়সেই চুল পেকে যায়। আগে বিষয়টি ধারণা করা হলেও এখন বৈজ্ঞানিকভাবে তা প্রমাণিত।

সম্প্রতি মেইল অনলাইনে ‘অপরিণত বয়সে চুল পাকা’র ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ থেকে জানা যায়, শরীরের অ্যাড্রেনালিন হরমোন এর জন্য দায়ী। অ্যাড্রেনালিন হলো বৃক্কীয় গ্রন্থি-নিঃসৃত একধরনের হরমোন। সাধারণত ভীত বা রাগান্বিত হলে এই হরমোন মানুষকে শান্ত ও স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা অ্যাড্রেনালিন হরমোন কিভাবে মানুষের শরীরে ব্যাপক ক্ষতি করে তা বের করতে কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে, তাঁরা শিগগিরই এ ব্যাপারে আমাদের আশার বাণী শোনাতে পারবেন। বের করতে পারবেন কিভাবে এই হরমোনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মানুষ নিজেকে রক্ষা করতে পারবে। তখন হয়তো, মানুষের চুল বুড়ো হওয়ার আগেই আর পেকে যাবে না।

গবেষকরা জানান, অপরিণত বয়সে চুল পেকে যাওয়া ঠেকাতে তাঁরা একটি ওষুধ উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এ গবেষণা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। তবুও তাঁদের ধারণা, শিগগিরই ওষুধ বের করে মানুষকে আশার আলো দেখাতে পারবেন।

নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষক রবার্ট লেফাকাইটজ বলেন, ‘ধারাবাহিক মানসিক চাপ কিভাবে মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলে, আমাদের গবেষণার মাধ্যমে এর সম্ভাব্য ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে।’ মানসিক চাপ মানুষের চুল পাকার মতো সাধারণ সমস্যা থেকে শুরু করে জীবননাশী বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে বলে তিনি জানান। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।

কালের কণ্ঠ