সুনীলের হাতের স্পর্শে সুস্থ হয় রোগী

সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে

সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ) কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।

মতিউল আলম/রফিকুল ইসলাম খোকন, নান্দাইল থেকে: জেলে সুনীল চন্দ্র বর্মন (৪৬) যে কোন রোগীর মাথা ছুইলেই সে রোগ ভাল হয়ে যায়। এই বিশ্বাসে সুনীলের বাড়িতে প্রতিদিন প্রায় অর্ধলাখ নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছে। খালি পায়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে শিশু, নারী-পুরুষ অপেক্ষা করছে সাধুজির দর্শন লাভের জন্য। টানা ২০ দিন ধরে শুধু নান্দাইল উপজেলার মানুষ নয়, কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, কেন্দুয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসছে। পূর্ব শিবনগর সুনীল চন্দ্র বর্মনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কথিত সাধুজি সুনীল নবনির্মিত টিনের চালাঘরে দাঁড়িয়ে আগত হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। ২জন হাত পাখা দিয়ে সুনীলকে বাতাস করছে। যার যার সাধ্যমতো রোগীরা অর্র্থ প্রদান করছে তাকে। পাশেই লাল প্লাস্টিকের বালতি নিয়ে বসে আছে একজন, সেখানে টাকা জমা নিচ্ছে। টাকায় বালতি ভরে গেলে সুনীল বাবুর বসতঘরে নিয়ে আবারও খালি করে আনা হচ্ছে। সুনীলের পেছনে একটি সাদা কাপড়ের ব্যানার টানানো আছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘সুনীল চন্দ্র বর্মন সাধুজির আস্তানা। রোগী দেখার সময়, সকাল ৭টা দুপুর বেলা ১টা পর্যন্ত, দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বি.দ্র. সাধুজির আস্তানায় খালি পায়ে প্রবেশ করতে হবে। সৌজন্যে চিত্রা স্টুডিও। সুনীলকে কেন্দ্র করে প্রায় অর্ধশত দোকানপাট গড়ে উঠেছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় মাথায় লাল ফিতা বেঁধে একটি কর্মীবাহিনী ডিউটি করছে সার্বক্ষণিক।
কে সেই সুনীল চন্দ্র বর্মণ: পূর্ব শিবনগর গ্রামের মৃত জেলে দুর্গা প্রসাদ বর্মনের পুত্র সুনীল চন্দ্র বর্মণ (৪৬)। ৩ ভাই ৪ বোনের মধ্যে বড় ভাই চিত্তরঞ্জন বর্মন, তার ছোট ভাই অনিল চন্দ্র বর্মন ভারতে চলে গেছেন। নরসুন্দা নদীতে খরা জাল দিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালাতো তাদের পরিবার। স্ত্রী ৩ ছেলে নিয়ে তার সংসার। বড় ছেলে গনেশ (২০) ২টি হাত পঙ্গু, মেজো ছেলে কমল চন্দ্র বর্মন (১৪) ৭ম শ্রেণীতে পড়ে। ছোট ছেলে ২য় শ্রেণীতে পড়ে। সুনীল চন্দ্র বর্মন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেছি। ওপরওয়ালা আমারে দান করছে। মানুষের সেবা দিচ্ছি। মানুষ যে টাকা-পয়সা দিচ্ছে তা দিয়ে তিনি ভবিষ্যতে ৩টি মন্দির নির্মাণ করবেন। নান্দাইল দড়িল্যা গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তার বৃদ্ধ মায়ের মাথায় গণ্ডগোল, তাকে চিকিৎসা করতে নিয়ে এসেছেন আজ। গতকাল তাকে নিয়ে এসেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদস্য জানান, তার মা ভাল হয়েছে শুনে তিনিও এসেছিলেন। কিন্তু তার রোগ ৩ দিন এসেও ভাল হয়নি। নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি লোকজন যাচ্ছে। এ বিষয়ে কেউ কোন ধরনের অভিযোগ করেনি। প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেব। পূর্ব শিবপুর গ্রামের মতিউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সুনীল লেখাপড়া করেনি। ছোটবেলা থেকেই মঠ-মন্দিরে ঘুরতো। ২০/২২ বছর আগে বিয়ে করার পরও মঠ-মন্দিরে ঘুরাফেরার জন্য অভাবের সংসারে স্ত্রী সন্তানরা না খেয়ে থাকত। এনিয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকাত। তিনি বলেন, তার স্ত্রী সুনীলের কাছে এসে ভাল হয়েছে। নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. তাজুল ইসলাম খান বলেন, সুনীলের চিকিৎসা বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। অশিক্ষিত অন্ধ বিশ্বাসীদের ধারণা, তার অলৌলিক ক্ষমতা আছে। ছুইলেও ভাল হয়ে যায়। আসলে এ ধারণা সঠিক নয়। তাই যদি সত্য হয়, তা হলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল নির্মাণ ও ডাক্তার হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। সুনীল আবিষ্কারের পর থেকে হাসপাতালে রোগী কম আসছে। mzamin.com

মানব জীবন সারাংশ

যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।

জীবন মানে সংগ্রাম

চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা‌‍‌‌‌..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..

স্মরনীয় বাণী

### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা

### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’

‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্‌-এনিমি। নন্‌-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’

স্মরনীয় বাণী

# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।

#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।

#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।

হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!

***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***

আকাশনীল প্লানেট

BD Newspapers

Education Zone

Video

Tutorial2

Tutorial

Bangla Astrology

সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে