![]() |
এ কারণে ক্যান্সারের চিকিৎসা গ্রহণকারীদের সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা করে শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত বলে ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, ক্যান্সারের চিকিৎসা নেওয়ার পর বিশ্রাম গ্রহণের যে পরামর্শ দেওয়া হয় তাতে করে এ রোগে আক্রান্তরা আরো ঝুঁকির মুখে পড়ে বলেও মন্তব্য করেছে দাতব্য সংস্থাটি।
'মুভ মোর' শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ২০ লাখ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ লোকই শারীরিকভাবে সক্রিয় নয়।
অধিকাংশ ক্যান্সার আক্রান্ত ও চিকিৎসাপরবর্তী পর্যায়ে ব্যায়াম করা নিরাপদ এবং ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের নিষ্ক্রিয় থাকা উচিত নয় বলে অ্যামেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিন প্রতিবেদনটিতে সুপারিশ করেছে।
এতে বলা হয়, সক্রিয় থাকলে দুর্বলতা ও ওজন বৃদ্ধির মতো ক্যান্সার ও এর চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধ করা যায়। পাশাপাশি এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকিও কমানো যেতে পারে।
তবে এর জন্য কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। সাধারণ কাজকর্ম যেমন বাগানে কাজ করা, হাঁটা বা সাঁতার কাটলেও একই উপকার পাওয়া যাবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়ামে নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
আর সপ্তাহে ৬ ঘণ্টা করে মধ্যম পর্যায়ের ব্যায়ামের ফলে অন্ত্রের ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্টের প্রধান নির্বাহী সিয়ারান ডেভানে বলেন, "ক্যান্সার থেকে আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে ব্যায়াম কতটা সুফল বয়ে আনে তা জানলে এ রোগে আক্রান্তরা হতবাক হয়ে যাবে।"
এদিকে যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চের হেড ইনফরমেশন নার্স মার্টিন লেডউইক এ প্রতিবেদনের বিষয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, "স্বাস্থের উন্নতি ও ক্যান্সার চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে পারে এমন যেকোনো কিছুই নিঃসন্দেহে ভালো। তবে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ব্যায়ামের ইতিবাচক ভূমিকার যে প্রমাণ পাওয়া গেছে তা নিশ্চিত নয়। এটা মনে রাখা জরুরি যে, ক্যান্সারে আক্রান্ত দুজন ব্যক্তি সমান নয়। আর তাই শারীরিক কর্মক্ষমতাকে অন্তর্ভুক্ত করে ক্যান্সারের চিকিৎসা প্রদানের সময় ব্যক্তি বিশেষের কথা মাথায় রাখা উচিত।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment