সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
লবণ খাওয়া কমানোর সুফল নিয়ে সংশয়!
স্বাস্থ্যের ওপর খাবার লবণের প্রভাব নিয়ে একটি পর্যালোচনা ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক বলেন, লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমালে হূদেরাগ কিংবা অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। একটি পর্যালোচনায় তাঁরা দেখেছেন, লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমানো হলে রক্তচাপ কিছুটা কমে। তবে তার মানে এই নয়, এতে অকালমৃত্যু কিংবা হূদেরাগের ঝুঁকি কমে। ওই গবেষকেরা বলেন, হূৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য এত দিন ধরে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, তা যথেষ্ট ছিল না। এ জন্য শিগগির বড় পরিসরের গবেষণা শুরু করার প্রয়োজন।
পর্যালোচনার নেতৃত্বে ছিলেন এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয়ের রড টেইলর। তিনি বলেন, লবণ খাওয়া কমানোর উপকারিতা ও ঝুঁকি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জনের জন্য বড় পরিসরে কিছু গবেষণামূলক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওই পর্যালোচনার তীব্র সমালোচনা করেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ফ্রান্সেসকো কাপ্পুচিও বলেন, ওই পর্যালোচনাটি ছিল ‘বিস্ময়করভাবে দুর্বল’। বিশ্বজুড়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে লবণ খাওয়া কমানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। একটিমাত্র পর্যালোচনার ফলে মানুষ এ স্বাস্থ্যবিধি পরিবর্তন করবে না।
লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক সাইমন কেপওয়েল বলেন, পর্যালোচনাটি হতাশাজনক ও এটি কিছুই প্রমাণ করে না। লবণ খাওয়া-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে এটি মানুষের ধারণার পরিবর্তন করেনি।
বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এবং লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি স্বাভাবিক রক্তচাপ কমে।
আগের পরীক্ষাগুলোতে লবণ খাওয়া কমানোর ফলে রক্তচাপ প্রতিরোধে কিছু উপকারিতা পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে তাতে বৃহত্তর জনসাধারণের হূৎপিণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত হয় বলে কোনো গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি। বিশ্বজুড়ে মানুষের অকালমৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ থেকে সৃষ্ট হূৎপিণ্ড ও ধমনির বিভিন্ন রোগ।
টেইলর বলেন, ওই পর্যবেক্ষণে লবণ খাওয়া কমিয়ে বড় ধরনের কোনো উপকারিতা না পাওয়ার কারণ হচ্ছে, তুলনামূলক কম মানুষের ওপর জরিপটি চালানো হয়। এ ছাড়া তিনি বলেন, ওই পরীক্ষায় যাদের পর্যবেক্ষণ করা হয় তারা লবণ খাওয়া অতি অল্প পরিমাণ কমিয়েছিল। তাই রক্তচাপ ও হূদেরাগের ক্ষেত্রে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
এ পর্যবেক্ষণের জন্য টেইলরের গবেষণাদল সাতটি জরিপ চালায়, যাতে মোট ছয় হাজার ৪৮৯ জন অংশগ্রহণ করেন। গবেষকেরা বলেন, এতে তাঁরা উপসংহারে যাওয়ার মতো যথেষ্ট উপাত্ত পেয়ে যান। কিন্তু তার পরও বিজ্ঞানীরা মনে করেন, স্বাস্থ্যের উপকার হয় বলে স্পষ্টভাবে কোনো কিছু শনাক্ত করার জন্য অন্তত ১৮ হাজার লোকের ওপর জরিপ চালিয়ে উপাত্ত সংগ্রহ করা প্রয়োজন ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপক এলেরিন রাশ বলেন, একটিমাত্র পরীক্ষা এবং একটিমাত্র পুষ্টি উপাদানের ওপর এ ধরনের সাধারণ সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে পরামর্শ দেওয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক নয়। রয়টার্স।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Diet and Fitness,
Health-And-Fitness,
Thesis,
খাদ্য ও পানীয়,
গবেষনা,
স্বাস্থ্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- EARN MONEY ONLINE
- 10 Surprising Facts About Headaches
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- গীতা সারাংশ
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
Popular Posts Last 7 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- 10 Surprising Facts About Headaches
- EARN MONEY ONLINE
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- Free Web Hosting Sites
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment