এই প্রথমবারের মতো সারা বিশ্বের প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, সত্তরের দশকে বিশ্বে প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো কোনো দেশ অক্ষম নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করছে। সাধারণ ব্যক্তির চেয়ে প্রতিবন্ধীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনগুণ ঝুঁকিতে থাকে। আবার তারা সমাজের মূলধারা থেকেও বিচ্ছিন্ন হতে পারে। এই বিচ্ছিন্নতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে হতে পারে।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বৈষম্য, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন সংস্থার অভাব, যানবাহনে যাওয়ার সমস্যা, তথ্যের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অক্ষম ব্যক্তিদের অবস্থা শোচনীয়। প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক টম শেকসপিয়ার বলেন, একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে অক্ষম ব্যক্তিরা তাদের পূর্ণ অধিকার ভোগ করতে পারে।
ডব্লিউএইচওর পরিচালক এটিয়েন ক্রুগ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে অক্ষম ব্যক্তিদের বিচ্ছিন্নতা নয়, গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রতিটি দেশেই জাতীয় পরিকল্পনায় এটা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, অক্ষমদের মধ্যে সবচেয়ে অরক্ষিত হলো নারী, শিশু, বয়স্ক ও দরিদ্র ব্যক্তিরা। ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, বিশ্বে অক্ষম শিশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে নয় কোটি। এর মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ শিশুর অবস্থা গুরুতর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। এএফপি, গার্ডিয়ান।
0 comments:
Post a Comment