উদাহরণ হিসেবে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেঞ্জামিন বোটনের গবেষণার কথা উল্লেখ করেন। এতে একটি বয়স্ক ইঁদুরের শরীরে ওই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়। ওষুধ প্রয়োগের সময় ইঁদুরটির ত্বক, মস্তিষ্ক, নাড়িভতড়ি এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গে বয়সের ছাপ ছিল। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধটি প্রয়োগ কারার মাত্র দুই মাসের মধ্যে প্রাণীটি দেহে অনেক বেশি নতুন কোষ তৈরি করল যা সে প্রায় সম্পূর্ণরুপে হারিয়ে ফেলেছিল। এতে লক্ষ্যনীয়ভাবে ইঁদুরটি তরুণ অবস্থায় ফিরে আসে।
অন্য একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইনসুলিন এবং কিছু হরমোনের ওপর প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কগুলোই প্রাণীর স্বাস্থ্য ও বুড়িয়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ ইনসুলিন ও হরমোনের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকারী উপদানগুলোর ওপর গবেষণার মাধ্যমে বয়স নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অধ্যাপক লিনডা এ ওষুধ গ্রহণের নিয়ম সম্পর্কে বলেন, ‘মধ্যবয়স থেকে প্রতিদিন একটি করে বড়ি গ্রহণ আমাদের বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা উপেক্ষা করলে ওষুধটি সেবনের পর থেকেই রোগ-শোকহীন উচ্ছ্বল তারুণ্যের মধ্যে বাকি জীবন অতিবাহিত করার গ্যারান্টি দেয়া যেতে পারে। কিছু আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানি ইতেমধ্যেই এ ধরনের ওষুধ বাজারজাত করার আগ্রহ দেখিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ওষুধ বাজারে আসলে তা একজন মানুষকে অসুস্থ হওয়ার ভোগান্তি ও চিকিৎসা ব্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করবে।
0 comments:
Post a Comment