ল্যানহ্যামের দাবি, তিনি তার পায়ের পাতা সম্পূর্ণভাবে পেছন দিকে ঘোরাতে পারেন এবং এ অবস্থায় আর কেউ তার চেয়ে দ্রুতগতিতে হেঁটে ২০ মিটার পথ অতিক্রম করতে পারবে না। তিনি আশা করছেন, তার পায়ের এ অবিশ্বাস্য কাজ এবং পেছন দিকে পা ঘুরিয়ে দ্রুত হাঁটার জন্য খুব শিগগিরই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম প্রকাশ পাবে। তার ইচ্ছা, তিনি এই অবিশ্বাস্যভাবে হেঁটে দ্রুততম মানবের বিশ্বরেকর্ড গড়ে তুলবেন। তবে ঝড়ের গতিতে দৌড়াতে না পারলেও দ্রুততম মানবের রেকর্ড গড়ার জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক উপায়। আর তা হলো তিনি তার পায়ের পাতা পুরোপুরি পেছন দিকে ঘুরিয়ে দ্রুতগতিতে হাঁটবেন। ল্যানহ্যামের পায়ের এই অস্বাভাবিক ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেছেন স্থানীয় চিকিৎসক। তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, শরীরে অতিরিক্ত টিস্যু এবং প্রতিটি জয়েন্টে কার্টিলিজ বা উপাস্থি নিয়ে ল্যানহ্যামের জন্ম হয়েছে। ফলে তার হিপ অর্থাৎ নিতম্বের পার্শ্বদেশ, হাঁটু এবং গোড়ালি ভিন্নভাবে ইলাস্টিকের মতো করে তৈরি হয়েছে। এর ফলেই এ অসাধ্য কাজটি তার পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে ল্যানহ্যামের ১৭ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে, নাম ট্রে। দুঃখজনক হলেও সত্য, তার এই ছেলেটিও উত্তরাধিকার সূত্রে এ ক্ষমতা লাভ করেছে, অর্থাৎ সে-ও তার বাবার মতো পায়ের পাতা অস্বাভাবিক অবস্থায় ঘোরাতে পারে। তবে ট্রে এভাবে পা বাঁকানো অবস্থায় তার বাবার মতো হাঁটতে পারে না। এ অবস্থায় কিছু সময় থাকার পরই সে পায়ে ব্যথা অনুভব করে। ল্যানহ্যাম তার ছেলের এ অবস্থায় হাঁটতে না পারায় হতাশ হয়ে বলেন, ‘এটা আমার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। কারণ আমি আশা করেছিলাম, অবসর গ্রহণের পর আমি আমার ছেলের ম্যানেজার হব।’
সূত্র: বিচিত্র, সমকাল
0 comments:
Post a Comment