৯৬ এর শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সুষ্ঠ বিচার না হওয়াতে ২০১০ সালে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এসেও একই মানসিকতা নিয়ে দেশের ৩০ লক্ষ বেকার যুবক ও মধ্যবিত্তের সঞ্চয়টুকু শোষণ করে নিল রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা কিছু লোভী ব্যবসায়ী নামধারী রাঘব-বোয়াল নরপিশাচ। যাদেরকে স্বয়ং আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রীও ভয় পান। কি এমন শক্তির জোর এই বুর্জোয়া চোরদের? শেয়ারবাজারে অব্যাহত দর পতনের প্রেক্ষিতে সারাদেশে শেয়ার হোল্ডার গন রাজপথ উত্তপ্ত করে তোলে এবং এই আন্দোলনের মুখেও অনুষ্ঠিত বিশ্ব কাপ ক্রিকেটের আয়োজক দেশ হিসাবে নিজের দেশের ভাবমূর্তির কথা চিন্তা করে পরবর্তীতে এই আন্দোলন থামিয়ে দেয় শেয়ার হোল্ডার সম্পদ হারানো ভুক্তভোগীরা। বলা যায় এতে বর্তমান সরকার একটি বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায়। অনেক ঘটা করে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে শেয়ারবাজার কারসাজির তদন্ত কমিঠি গঠন করা হল। দীর্ঘ ২ মাস তদন্ত শেষে তদন্ত কমিঠি যে রিপোর্ট প্রদান করে তাতে….বাজার কারসাজির জন্য প্রায় ৬০ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছেন। দৈনিক প্রথম আলো রিপোর্ট যাদের মধ্যে… মোসাদ্দেক আলী ফালু, সালমান রহমান ও নুর আলীর ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, ডা. এইচ বি এম ইকবাল, মুনিরুদ্দিন আহমদ, রোকসানা আমজাদ, গোলাম মোস্তফা, আহসান ইমাম, ইয়াকুব আলী খোন্দকার, নিউ ইংল্যান্ড ইক্যুইটি, লুৎফর রহমান বাদল, তাঁর স্ত্রী সোমা আলম রহমানের নাম।
কিন্তু আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী গত ৮ই এপ্রিল সংবাদকর্মীদের এক সাক্ষাত্কারে বলেন চিহ্নিত ৬০ ব্যক্তি হইতে ১০/১৫ কে বাদ দিতে হবে। কারন তারঁ মতে এই সব ব্যাক্তি আমাদের সমাজের অনেক সম্মানীত লোক….এ জন্য তাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে প্রশ্ন চোরের আবার সম্মান কি? চোরের পরিচয় তো চোরই।
from : http://blog.bdnews24.com
0 comments:
Post a Comment