গত সোমবার রাতে লন্ডনের ব্রিটিশ কাউন্সিলে এবারের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে সালমান রুশদি, ইয়ান ম্যাকইওয়ান ও জেডি স্মিথের মতো লেখক সাময়িকীটির এই তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন।
২০০৮ সালে তাহমিমা আনামের প্রথম উপন্যাস এ গোল্ডেন এজ ‘সেরা প্রথম বই’ হিসেবে কমনওয়েলথ রাইটার্স পুরস্কার পায়। এ ছাড়া উপন্যাসটি গার্ডিয়ান ফার্স্ট বুক অ্যাওয়ার্ড ও কস্টা ফার্স্ট নভেল প্রাইজের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছিল। তাঁর পরবর্তী উপন্যাস দ্য গুড মুসলিম ২০১১ সালের ম্যান এশিয়ান লিটারারি প্রাইজের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল।
১৯৮৩ সালে গ্রান্টা প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব ৪০ বছরের ২০ জন তরুণ ব্রিটিশ ঔপন্যাসিকের তালিকা প্রকাশ করে। এর পর থেকে সাময়িকীটি ১০ বছর পর পর এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে। যেসব তরুণ লেখক ভবিষ্যতে ব্রিটিশ সাহিত্য, সমালোচনা ও বাণিজ্যিক সাফল্যে প্রথম সারিতে উঠে আসবেন—সাহিত্য জগতে এ ধরনের প্রতিভা খুঁজে বের করার প্রয়াসের জন্য গ্রান্টার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে।
গ্রান্টার এবারের তালিকায় বেশির ভাগই নারী, যাঁরা বহু সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট থেকে উঠে এসেছেন। তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন নাওমি অ্যাল্ডারম্যান, নেড বিউম্যান, জেনি ফ্যাগান, অ্যাডাম ফোল্ডস, শিয়াউলু গুয়ো, সারাহ হল, স্টিভেন হল, জোয়ানা ক্যাভেনা, বেঞ্জামিন মার্কোভিৎস, নাদিফা মোহাম্মদ, হেলেন ওয়েইয়েমি, রস রাইজিন, সাঞ্জিব সাহোতা, টাইয়ে সেলাসি, ক্যামিলা শামসি, জেডি স্মিথ, ডেভিড জালয়, অ্যাডাম থার্লওয়েল ও ইভি ওয়াইল্ড।
গ্রান্টার এবারের তালিকায় স্থান পেতে ১৫০ জনের বেশি লেখক আবেদন করেন। আবেদনের জন্য কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এগুলো হলো আবেদনকারীর বয়স হবে অনূর্ধ্ব ৪০ এবং তাঁকে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীর অন্তত একটি গল্প বা উপন্যাস প্রকাশিত বা প্রকাশনার সঙ্গে চুক্তি থাকতে হবে।
তাহমিমা আনামের প্রথম দুটি উপন্যাস বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ওপর পরিকল্পিত ত্রয়ী উপন্যাসের অংশ। তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে সামাজিক নৃতত্ত্বের ওপর পিএইচডি করেছেন। এ ছাড়া লন্ডনের রয়্যাল হলোওয়ে থেকে সৃজনশীল লেখার ওপর এমএ করেছেন। তাঁর লেখা গ্রান্টা, নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ ছাপা হয়েছে।
তাহমিমা আনাম ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের মেয়ে এবং প্রয়াত লেখক, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমেদের নাতনি।
এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরেক ব্রিটিশ লেখিকা মনিকা আলীকে ২০০৩ সালে গ্রান্টার তালিকায় বেছে নেওয়া হয়।
0 comments:
Post a Comment