তবে ফুসফুসের ওপর গাঁজার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে।
১৯৮৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, শিকাগো, মিনিয়াপোলিস ও আলবামার প্রায় ৫ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকীতে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় গবেষকরা দেখতে পান, তরুণরা অধিক গাঁজা সেবনের কথা জানানো পর তাদের ফুসফুস আগের চেয়ে কিছুটা সবল হয়েছে।
গবেষণায় অংশগ্রহকারীদের ফুসফুস কতটুকু বাতাস ধারণ করতে পারে এবং শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে সর্বোচ্চ কি পরিমাণ বাতাস বের হয়ে যায় তার হার পর্যালোচনা করে গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
হুক্কা বা ওই জাতীয় কোনো পাত্র ব্যবহার করে মাঝারি মাত্রায় গাঁজা সেবনে ফুসফুসের ক্ষতির কোনো নজির পাওয়া যায়নি।
একই পরীক্ষা যারা ধূমপান অর্থাৎ সিগারেট পান করে করিয়েছেন তাদের ফুসফুসের অবস্থার নেতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অ্যালবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. স্টিফেন কার্তেজ বলেন, “আগের পরীক্ষাগুলোতে মিশ্র ফল পাওয়া গিয়েছিলো। কয়েকজন গাঁজা সেবনের কারণে ফুসফুসে টেনে নেওয়া বাতাসের পরিমাণ বেড়ে গেছে বলে জানালেও অন্যরা এরকম কিছু জানাননি। আবার কেউ কেউ ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছেন।”
গবেষকদের ধারণা, কল্কি বা জয়েন্টের মাধ্যমে গাঁজা সেবন ফুসফুসে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কিছুটা সাহায্য করে থাকতে পারে।
এই গবেষণায় গাঁজার দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের বিষয়ে কোনো ফলাফল জানানো হয়নি।
গবেষকরা বলেছেন, এ গবেষণা ফলাফলের অর্থ এই নয় যে, লোকজন গাঁজা সেবন করে ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইন্সিটিটিউটের উপবিভাগ ন্যাশনার ইন্সস্টিটিউট অব ড্রাগ অ্যাবিউস’র তত্ত্ববধানে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment