দলীয় সূত্র বলেছে, রোডমার্চ কর্মসূচির আপ্যায়ন ও অভ্যর্থনা উপকমিটির প্রধান হিসেবে মেয়র এসব খাবারের ব্যবস্থা করছেন। এতে যে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তা কে বহন করছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে চট্টগ্রাম বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেছেন, আপ্যায়নের সমুদয় অর্থ মেয়র নিজেই বহন করছেন।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর চট্টগ্রামের প্রবেশপথ সিটি গেট এলাকায় গাড়ির বহরের সঙ্গে আগত সবার হাতে প্যাকেট বিরিয়ানি সরবরাহ করা হবে। আজ সমাবেশের আগে প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টার ও আবাসিক হোটেলে একইভাবে তাঁদের জন্য প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করার কথা।
দলীয় সূত্র জানায়, মূল রান্নাবান্না গতকাল রাতে হওয়ার কথা। এ সময় আরও বেশিসংখ্যক গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করার কথা।
শহরতলি কাট্টলীতে অবস্থিত মেয়র মন্জুরের মালিকানাধীন ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিল ও বাগানবাড়ি আবাসন প্রকল্পের ভেতরে গতকাল ভোরে ১০টি গরু, আটটি মহিষ ও ১৫টি খাসি জবাই করা হয়। দুপুরে ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলে গিয়ে দেখা যায়, এক রকম গোপনীয়তার মধ্যে সেখানে রান্না চলছে। রান্নাঘরে গিয়ে দেখা গেছে, কারখানার প্রবেশপথ থেকে কয়েক শ গজ ভেতরে সারিবদ্ধভাবে চুলা জ্বালিয়ে অন্তত ৫০টি বড় ডেকচিতে চলছে রান্নাবান্না। কয়েকজন বাবুর্চির নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক কাজ করছেন। এসবের তদারক করছিলেন হারুন নামের যুবদলের একজন নেতা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বেলার রান্নাবান্না শেষে প্যাকেট করে পাঠানো হচ্ছে। আগামীকাল দুপুরের খাবার আয়োজনও এখান থেকে হবে।’
জানা গেছে, খাবারের প্যাকেটের সঙ্গে মেয়রের পক্ষ থেকে একটি গেঞ্জি ও একটি টুপি দেওয়া হবে। ওই গেঞ্জি-টুপি পরেই তাঁরা সোমবার পলোগ্রাউন্ড ময়দানে খালেদা জিয়ার জনসভায় যোগ দেবেন।
হাজার হাজার লোকের খাবার সরবরাহ প্রসঙ্গে জানতে গতকাল কয়েক দফা সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে গিয়ে মেয়র মন্জুরের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। গতকালও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল। তিনি দুদিন ধরে সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, নেতা-কর্মীদের থাকার জন্য বিএনপি অন্তত ১৫টি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে। এ ছাড়া নগরের শতাধিক আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
১২ হাজার গাড়ির পার্কিং: পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় যোগ দিতে আসা ১২ হাজার গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে নগর ও শহরতলির বিভিন্ন খালি জায়গায়। খালেদা জিয়ার বহরের গাড়ি জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের ময়দান, জিমনেসিয়াম, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মাঠ, চিটাগাং ক্লাবসংলগ্ন সড়ক ও আউটার স্টেডিয়ামে রাখার ব্যবস্থা করেছে নগর পুলিশ প্রশাসন।
0 comments:
Post a Comment