শুধু ওরাল টমসন নন, তাঁর মতো আরও অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে হলিউড তারকা উইনোনা রাইডার, অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান, অভিনেতা মেগান ডেনিস ফক্স, ইংলিশ ফুটবলার স্টিভেন গেরার্ড।
উইনোনা রাইডার ২০০২ সালে একটি দোকান থেকে প্রায় চার হাজার পাউন্ড মূল্যের কাপড় চুরির দায়ে অভিযুক্ত হন। গত বছর আড়াই হাজার ডলারের একটি গলার হার চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হন লিন্ডসে লোহান। মাত্র সাত ডলারের একটি লিপগ্লস চুরি করে ওয়াল-মার্ট থেকে চাকরি হারান মেগান ফক্স। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। দোকানে সুযোগ পেলেই পকেটে কলম আর কাগজ পুরতে ভোলেন না স্টিভেন গেরার্ড। পুলিশ তাঁকে এর মধ্যে একাধিকবার সতর্ক করে দিয়েছে।
আর্থিক সামর্থ্য থাকার পরও এসব জনপ্রিয় ও ধনাঢ্য তারকা কেন চুরি করেন, তা রহস্যই বটে। অনেকে নিজেই জানেন না, কেন তাঁরা চুরি করেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দার শিকার তাঁরা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত বিষাদ থেকেই ধনী ব্যক্তিরা চুরি করেন। বাস্তবে এসব ব্যক্তি খুবই সৎ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর শপলিফটিং প্রিভেনশনের বারবারা স্টেইব বলেন, সাধারণত কোনো ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও শূন্যতা পূরণের তাগিদ থেকেই ক্রেতা সেজে অনেকে দোকান থেকে জিনিসপত্র চুরি (শপলিফটিং) করেন। তিনি বলেন, ‘এসব লোক সাধারণত সৎ নাগরিক।’ গবেষণায় বিষণ্নতায় ভোগা এবং এ ধরনের চুরির মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বারবারা স্টেইব বলেন, বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে কেউ মদ পান করেন। কেউবা জড়িয়ে পড়েন চুরির ঘটনায়। তাঁরা চুরি করার মধ্যেই সান্ত্বনা খোঁজেন।
তবে কানাডার মনোবিদ ড. উইল কাপচিক বলেন, এরা গতানুগতিক চোরদের মতোই। ধনী ব্যক্তিরা কেন চুরি করেন, তা নিয়ে এই গবেষক কয়েক দশক ধরে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি উত্তর আমেরিকায় তাঁর এক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য যেকোনো পেশার চেয়ে চিকিৎসা, নার্সিং ও পুলিশের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা শপলিফটিংয়ের সঙ্গে বেশি জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় একজন আইনজীবী কারখানা থেকে টুথপেস্টের একটি টিউব চুরি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, কেন এটি করেছি। তবে ওই দিন আমার ছেলে হাসপাতালে ছিল।’ বিবিসি। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment