গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানুষের জিন বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যেতে পারে তিনি কত দিন বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘মানুষের আয়ু সম্পর্কে তার ডিএনএতে লেখা থাকে। ফলে শিশুর জন্মের পরই জানা যাবে সে কত দিন বাঁচবে।’ তাঁরা বলেন, মানুষের ক্রোমোসোমগুলো একটির প্রান্তে আরেকটি যুক্ত হয়ে লম্বা আকার ধারণ করে। ক্রোমোসোমের দুই প্রান্ত যাতে ঘর্ষণের মাধ্যমে ক্ষয় না হয়, সে জন্য তাতে গুটি গুটি বস্তু থাকে। এগুলোকে ‘টেলুমিয়ার’ বলা হয়। মানুষের আয়ু নির্ভর করে এই টেলুমিয়ারের ওপর। আর টেলুমিয়ারের দৈর্ঘ্য যত বেশি, মানুষের আয়ুটাও তত বেশি হবে।
দ্য ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, কোনো দুর্ঘটনা, অসুখ, মাদক বা ধূমপানের মতো অভ্যাসগত কারণে কারও মৃত্যু হলে বা আয়ু কমে গেলে সেটা টেলুমিয়ারের ওপর নির্ভর করবে না।
গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ওই গবেষণা দলটির নেতা অধ্যাপক প্যাট মোনাঘান বলেন, জেব্রা ফিন্সেস নামের অস্ট্রেলিয়ার একটি অতি সাধারণ পাখির ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পাখিগুলোর সারা জীবনের ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকেরা। পাখিগুলোর বয়স যখন ২৫ দিন ছিল, তখন তাদের রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। প্যাট বলেন, ‘গবেষণার ফলাফল আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
প্যাট আরও বলেন, কম দৈর্ঘ্যের টেলুমিয়ারের পাখি কম সময় বেঁচেছে। আর বেশি দৈর্ঘ্যের টেলুমিয়ার বিশিষ্ট পাখি বেশি বছর বেঁচেছে।
গবেষকেরা বলেন, এই গবেষণার ফলাফল মানুষের জীবনেও ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা যাবে। কারণ মানুষের ডিএনএর ক্রোমোসোমে থাকা টেলুমিয়ারের সঙ্গে জেব্রা ফিন্সেস পাখির টেলুমিয়ারের কাজের মিল রয়েছে। ফলে এখন থেকে মানুষও তাদের টেলুমিয়ারের দৈর্ঘ্য মেপে তার জীবনের দৈর্ঘ্যও জানতে পারে।
এই গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। রহস্যময়
0 comments:
Post a Comment