সেই ক্ষোভ থেকেই কিনা, গণ-অভ্যুত্থানে তাহরির স্কয়ারে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রজ সৈনিক ছিল তারা। মোবারকের পতনের পর তাই নারীরাই হয়েছিল সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত। কিন্তু তাদের আশাভঙ্গ হতে সময় লাগেনি।
মোবারক সরকারের পতনের মাত্র তিন সপ্তাহ পরের ঘটনা। বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে তাহরির স্কয়ারে শত শত নারী জড়ো হলো। নারী অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। এর এক দিন পরই সেনাবাহিনী তাহরির স্কয়ার থেকে কয়েক শ নারীকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ১৭ জন নারীকে নেওয়া হয় মিসরের জাদুঘরে। সেখানে রেখে মারধর ও বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন।
গ্রেপ্তারকৃত এসব নারীর মধ্যে সামিরা ইব্রাহিমও (২৫) ছিলেন। তিনি বলেন, জাদুঘর থেকে একটি সেনাক্যাম্পে নিয়ে তাঁদের দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এক সারিতে বিবাহিত ও অন্য সারিতে অবিবাহিত নারীরা। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন দ্বিতীয়টিতে। একপর্যায়ে তাঁকে আলাদা একটি কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়।
সামিরা বলেন, ‘ওই কক্ষে নিয়ে আমি কুমারী কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য আমার সব পোশাক খুলতে বলা হয়। তখন আমি বলি, এটা ঠিক নয়, সবার সামনে বিবস্ত্র করাটা অন্যায়। এ সময় তারা আমাকে বৈদ্যুতিক শক দিলে আমার প্রতিবাদও থেমে যায়। পরে একজন পুরুষ প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে আমার কুমারীত্ব পরীক্ষা করেন।’
এই অভিজ্ঞতার পর সামিরা আদালতে এর বিরুদ্ধে আবেদন করেন। কায়রোর আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে নারীদের ফের এ ধরনের কুমারীত্ব পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে তা বন্ধের নির্দেশ দেন। বিবিসি।
0 comments:
Post a Comment