বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য বৈধভাবে ভিসার আবেদন করতে হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০ বছর পর্যন্ত লেগে যায়। আইনটি সংশোধন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই অবৈধ অভিবাসীরা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে আইনটি সংশোধনের কাজ শেষ হতে পারে। এতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস শুক্রবার এক ঘোষণায় জানায়, “নতুন এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হলো- অবৈধ অভিবাসীদের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিচ্ছেদের সময় কমানো।”
তবে যাদের স্বামী, স্ত্রী বা সন্তান মার্কিন নাগরিকত্ব পায়নি, তারা সংশোধিত আইনের সুবিধা পাবে না।
ওবামা প্রশাসনের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছে সেখানে অবস্থানরত হিসপানিক গ্র“পগুলো। এ বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে এই হিসপানিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
অবৈধ অভিবাসীদের ‘শর্তসাপেক্ষে’ বৈধতা দেওয়ার বিষয়টি ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওবামার অন্যতম অঙ্গীকার ছিল।
নতুন নিয়মে মার্কিন নাগরিকরা তাদের অবৈধ অভিবাসী স্বামী-স্ত্রী-সন্তানদের জন্য গ্রিনকার্ডের আবেদন করতে পারবেন। তবে ভিসা নিতে তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতেই হবে।
বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীরা একবার যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে ফেরার জন্য তাদের তিন থেকে দশ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে কারো স্বামী-স্ত্রী বা সন্তান মার্কিন নাগরিক অথবা গ্রিনকার্ডধারী হয়ে থাকলে এবং তাদের বিপদের আশঙ্কা থাকলে সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগে বাধ্য করা থেকে তাকে রেহাই দিতে পারে। কিন্তু এ সুযোগ পাওয়া গ্রিনকার্ড পাওয়ার মতোই জটিল ও সময়-সাপেক্ষ।
এই সব অভিবাসীরা নিজের দেশে ফেরত গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আবেদন করলে তার নিস্পত্তিতে কয়েক বছর লেগে যেত। আর আবেদন বাতিল হলে পরিবার থেকে চিরদিনের মতো বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হতো তাদের।
এ প্রক্রিয়া এতোটাই জটিল যে অবৈধ অভিবাসীরা আইনি পথে না গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে লুকিয়ে থাকার রাস্তাই গ্রহণ করতেন।
আইন সংশোধন হলে ভিসা নিতে দেশে ফেরত যাওয়ার আগেই সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সাময়িক অনুমতি মিলবে। আর অনুমতি হাতে পেলে তারা দেশে ফিরেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment