আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র ২০ বছর বয়সে তোশিও তানাবে তাঁর রেস্তোরাঁর ব্যবসা শুরু করেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে রেস্তোরাঁয় আসা ক্রেতাদের মাটির খাবারে আপ্যায়িত করছেন তিনি।
এ খাবারে আগ্রহী ক্রেতারা মাটির সুপ দিয়ে খাবার শুরু করেন। শেষ করেন মাটির শরবত দিয়ে।
তোশিও তানাবে বলেন, ‘সমুদ্র, বাতাস বা মাটি তৈরি করতে পারে না মানুষ। এগুলো প্রকৃতির অংশ। এগুলো নিজেদের ক্ষমতাবলেই প্রকৃতিতে টিকে থাকে। আমি খাবারের মধ্য দিয়ে এ জিনিসটির প্রতিফলন ঘটাতে চাইছি। এ কারণে আমি মাটি খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। বেশ গভীর করে খুঁড়ে একদম নিচ থেকে মাটি নিয়ে আসি।’
শুরুতে একদম পরিষ্কার ও রাসায়নিক পদার্থবিহীন মাটি খুঁজে পাওয়াটা খুব কষ্টসাধ্য ছিল। বর্তমানে টোকিওভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান তানাবেকে প্রতিদিন এক কেজি পরিশোধিত মাটি সরবরাহ করে। এই এক কেজি মাটি অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এতে মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। এই মাটিতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া চালিয়ে ঘ্রাণ সংযোজন করে তা রান্না করা হয়।
ওই রেস্তোরাঁর ক্রেতা হিরোমি ফুজি বলেন, ‘এটাই আমার জীবনের প্রথম মাটির সুপ খাওয়া। এটা একটু বালি বালি লেগেছে, তবে খারাপ লাগেনি। সবজির সুপের মতো। পছন্দ হয়েছে।’
prothom-alo
0 comments:
Post a Comment