কচ্ছপের মালিক আলমেইদা পরিবার জানায়, ১৯৮২ সালে ম্যানুয়েলা নিখোঁজ হয়। চলতি মাসের গোড়ার দিকে আলমেইদা পরিবারের কর্তা লিওনেল মারা যান। এরপর তাঁর সন্তানেরা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে ম্যানুয়েলার সন্ধান পান। ভাঙাচোরা বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র ছিল কক্ষটিতে। অনেক দিন ধরে এটি তালাবদ্ধ।
লিওনেলের ছেলে লিওনার্দো জানান, একটি পুরোনো রেকর্ড প্লেয়ারের বাক্সে ম্যানুয়েলাকে জীবিত দেখতে পেয়ে তিনি প্রথমে চমকে যান। তিনি বলেন, ‘ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাক্সটি আমি বাড়ির বাইরে ফুটপাতে রেখে আসি। তখন একজন প্রতিবেশী আমাকে বলেন, “তুমি কি কচ্ছপটিও ফেলে দিচ্ছ?” পরে বাক্সের মধ্যে ম্যানুয়েলাকে দেখে আমি অবাক হই। ব্যাপারটা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না!’
লিওনেলের মেয়ে লেনিতাকে শৈশবে কচ্ছপটি পুষতে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ম্যানুয়েলাকে ফিরে পেয়ে আমরা সবাই রোমাঞ্চিত। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না, কচ্ছপটি কীভাবে ৩০ বছর বদ্ধ ঘরে বেঁচে ছিল। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য!’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রিও ডি জেনিরোর পশুচিকিৎসক জেফারসন পাইরেস বলেন, ম্যানুয়েলা যে প্রজাতির, সেই লাল পায়ের প্রজাতির কচ্ছপ খাবার ছাড়া দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।
পাইরেস আরও বলেন, এই প্রজাতির কচ্ছপ খাবার ছাড়া দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। জঙ্গলে ফল, পল্লব, মরা প্রাণী, এমনকি বিষ্ঠা খেয়ে জীবন ধারণ করে এই প্রজাতির কচ্ছপ। ম্যানুয়েলা সম্ভবত কাঠের পাটাতনে জন্ম নেওয়া পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে ছিল। টেলিগ্রাফ অনলাইন
0 comments:
Post a Comment