যুক্তরাষ্ট্রের মনোবিজ্ঞানী জর্জ মিলারের দাবি ছিল, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই মানুষ সর্বোচ্চ সাত গুচ্ছ তথ্য মনে রাখতে পারে। সে সময় থেকেই মনোবিজ্ঞানবিষয়ক অনেক প্রবন্ধে জাদুকরি সংখ্যা হিসেবে ৭-কে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৫৬ সালে মিলারের প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয় মনোবিজ্ঞানবিষয়ক প্রভাবশালী সাময়িকী সাইকোলজিক্যাল রিভিউতে। প্রবন্ধটির শিরোনাম ছিল দ্য ম্যাজিকেল নাম্বার সেভেন, প্লাস অর মাইনাস টু: সাম লিমিটস অন আওয়ার ক্যাপাসিটি ফর প্রসেসিং ইনফরমেশন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের (ইউএনএসডব্লিউ) মনোচিকিৎসক গর্ডন পার্কারের নেতৃত্বাধীন একদল গবেষক বলেছেন, ‘মানুষের মস্তিষ্কে তথ্য ধারণক্ষমতা সম্পর্কে এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার ধারণা নেই।’ মিলারের গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিস্তৃত পরিসরে মিলার প্রকৃত ম্যাজিক সংখ্যা চিহ্নিত করতে পারেননি।
অ্যাকটা সাইকিয়াট্রিকা স্ক্যানডিনেভিকা সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে অধ্যাপক পার্কার বলেছেন, মানুষ সর্বোচ্চ চার গুচ্ছ তথ্য মনে রাখতে পারে, সাত গুচ্ছ নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ৬৪৫৮৯৩৭ সাত অঙ্কের এ টেলিফোন নম্বর মনে রাখতে মানুষ একে ৬৪, ৫৮, ৯৩, ৭ চারটি গুচ্ছে পৃথক করে। ইউএনএসডব্লিউ।
প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment