যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির নৃবিজ্ঞানী ডিন ফক ও তাঁর সহযোগীরা আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ১২টি ছবি নিয়ে নতুন করে গবেষণা করেছেন। এতে মস্তিষ্কের এমন কিছু অবকাঠামো উঠে এসেছে, যা আগের গবেষণায় ব্যবহূত ছবিগুলোতে দেখা যায়নি। ছবিগুলো এত দিন সংরক্ষিত ছিল মেরিল্যান্ডে অবস্থিত ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনে। গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সাময়িকী ব্রেইন-এ।
গবেষণার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সের জটিল গঠন ও খাঁজের ধরন। এটি জ্ঞান, অভিজ্ঞতা সঞ্চয়কারী ও চিন্তাশক্তিতে ভূমিকা পালনকারী মস্তিষ্কের অংশ। বিশেষ করে, মগজের উপরিভাগের সামনের অংশ বা প্রিফ্রন্টিয়াল কর্টেক্সে এটা দেখা গেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, বিমূর্ত চিন্তার জন্য মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টিয়াল কর্টেক্স গুরুত্বপূর্ণ। মহাশূন্য ও সময়ের প্রকৃতি নিয়ে আইনস্টাইনের বিখ্যাত তত্ত্ব যেমন, আলোকরশ্মির পাশাপাশি ছুটে চলা—এমনটা কল্পনা করার জন্য তাঁর এটা দরকার ছিল। সম্ভবত তাঁর মস্তিষ্কের খাঁজের এই অস্বাভাবিক জটিল ধরনের কারণেই তিনি অসাধারণ সব ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকতে পারেন।
ফক ও তাঁর সহযোগীরা মস্তিষ্কের ডান দিকের সোমাটোসেন্সরি কর্টেক্সেও অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেছেন। এই অংশ দেহের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথ্য গ্রহণ করে থাকে। গবেষকেরা ইঙ্গিত দেন, এ কারণেই সম্ভবত আইনস্টাইন বেহালা বাজাতে ছিলেন সিদ্ধহস্ত।
১৯৫৫ সালে আইনস্টাইনের মৃত্যুর পর তাঁর লাশের ময়নাতদন্তের দায়িত্ব পান বিখ্যাত প্যাথলজিস্ট থমাস হার্ভে। তিনি আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক অপসারণ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করেন। এরপর তা ২৪০ খণ্ডে বিভক্ত করার আগে তিনি কয়েক ডজন সাদাকালো ছবি তুলে রাখেন। নেচার।
0 comments:
Post a Comment