এ যন্ত্রের মাধ্যমে মুখের লালা থেকে ২০-৪০ মিনিটের মধ্যেই এইচআইভি নির্ণয় করা সম্ভব হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ফার্মেসি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দোকান ও অনলাইনে ৩০ হাজার যন্ত্র বিক্রি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যন্ত্রটির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ওরা সিওর এটার মূল্য না জানালেও তা যে ৬০ ডলারের কম হবে তা নিশ্চিত করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডগলাস মিশেলস বলেন, “সব খুচরা দোকানে এটা বিক্রি হবে বলে আমরা আশা করছি।”
ওরা সিওর জানায়, কোনো ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাস বহন করছে কি না তা এ ৯২ শতাংশ নিশ্চিত করে জানাতে সক্ষম এ যন্ত্র। আর কোনো ব্যক্তি এ ভাইরাসে আক্রান্ত না হলে তা নিশ্চিত করতে পারার হার ৯৯ শতাংশ।
এইচআইভি/এইডস সচেতনতা সংগঠনগুলো এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
যারা কখনও এ পরীক্ষা করেনি তাদের হাতেও এ যন্ত্র পৌঁছে যাবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) আশা করছে।
তবে এ যন্ত্রে পরীক্ষার ফলাফল শতকরা ১শ’ ভাগ নিশ্চিত নাও হতে পারে উল্লেখ করে ফলাফল নিশ্চিত করতে আরো পরীক্ষা চালানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে এফডিএ।
২০০২ সাল থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা ওরাকুইক টেস্টের একটা ভার্সন ব্যবহার করছেন।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ১২ লাখ মানুষের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস থাকলেও এদের ২০ শতাংশ তা জানেই না।
গত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/
0 comments:
Post a Comment