পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের সংখ্যা ১২ লাখ। এদের মধ্যে দুই লাখ গেছে মিরপুর থেকে। শহরটির প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো আত্মীয় যুক্তরাজ্যে বাস করেন। ইসলামাবাদ থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে আজাদ কাশ্মীরের সবচেয়ে ধনী শহর মিরপুর। ১৯৬০ সালের শহরটির পাশে একটি বাঁধ নির্মাণ হলে অনেক লোক জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। বেঁচে থাকার তাগিদে যেকোনো জায়গায় চলে যেতে রাজি ছিল তারা।
এমন সময়ে মধ্য ও উত্তর ইংল্যান্ডে অনেক নতুন কলকারখানা গড়ে উঠলে, শ্রমিকের অভাব পড়ে। পাকিস্তানের নিঃস্ব লোকগুলোকে খুব কম বেতন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের সাবেক উপনিবেশিক শাসকদের দেশে। এর পর থেকে চলতে থাকে অভিবাসন। নতুন আইন কার্যকর হলে স্বল্প শিক্ষিত মিরপুরবাসীদের এই অভিবাসন প্রক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে।
ঘটকেরা ছুটছেন, ইংরেজি শিক্ষকেরা পড়াতে পড়াতে হিমশিম খাচ্ছেন আর অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা আবেদনপত্রের স্তূপের নিচে চাপা পড়তে চলেছেন। বর-কনেরা ছুটছেন বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে অভিবাসন দপ্তরের দিকে।
অভিবাসন পরামর্শক ফয়সাল মেহমুদ বলেন, বছরের এ সময়ে তিনি সাধারণত সপ্তাহে ছয় থেকে আটটি বিয়ে পড়িয়ে থাকেন। কিন্তু এখন কয়েকগুণ বেশি বিয়ে পড়াতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি ৫৩টি দম্পতির বিয়ে পড়িয়েছি ও কাগজপত্র তৈরি করেছি।’
যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন আইন কার্যকর হবে ৯ জুলাই থেকে। শুধু স্ত্রীসহ বাস করতে হলে স্বামীকে বছরে ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ডের বেশি আয় করতে হবে। স্বামী-স্ত্রী-সন্তানসহ বাস করতে হলে বার্ষিক বেতন হতে হবে ২২ হাজার ৪০০ পাউন্ড। যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেতে হলে বিদেশি দম্পতিকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আগে এই সময়সীমা ছিল দুই বছর। নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহী এমন লোকদের ভালো ইংরেজি জানতে হবে এবং লাইফ ইন দ্য ইউকে টেস্টে পাস করতে হবে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment