সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে গিয়েই এই আকাশচুম্বী ব্যয়ে বাধ্য হন বিয়েতে আগ্রহী ছেলেমেয়েরা। পাত্র-পাত্রী পছন্দের ব্যাপারটি পাকাপাকি হয়ে গেলে বিয়ের আগেই দুই পরিবারের মধ্যে বিনিময় হয় রেশমি কাপড়ের চোখ ধাঁধানো পোশাক, বিলাসী হাতব্যাগ থেকে শুরু করে হিরের আংটি পর্যন্ত। সঙ্গে কয়েক দশকের পুরোনো রীতি অনুযায়ী বাড়িভাড়া বাবদ কনেপক্ষের হাতে বরকে তুলে দিতে হয় বিরাট অঙ্কের আগাম অর্থ। একসময় মোটামুটি আড়ম্বরপূর্ণ পোশাক ও সাধারণ অলংকারের চল থাকলেও জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক আর অলংকার এখন সে স্থান দখল করে নিয়েছে।
এক সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটিতে ১৯৯৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিয়ের খরচ বেড়েছে প্রায় ২৭০ শতাংশ। একই সময় মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৪৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, একটি পরিবারের গড় বার্ষিক আয় ৪২ হাজার ৪০০ ডলার। কিন্তু বিয়ের যে খরচ, তা এই আয়কে অনেক বেশি ছাপিয়ে গেছে। এতেও অবশ্য থেমে নেই বিয়ের আয়োজন। পরিপাটি আয়োজনে নবদম্পতির নেই উদ্যোগের কমতি। ব্যয় মেটাতে কেউ হাত পাতছেন বাবা-মায়ের কাছে, কেউ বা অন্য কারও কাছে।
বিয়ের খরচ নিয়ে সরাসরি আলোচনা করা দেশটির সংস্কৃতিতে একটি নিষিদ্ধ বিষয়ের মতো। কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হন না। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইওয়া উইমেনস ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক হ্যারিস এইচ কিম বলেন, ‘কোরীয় সমাজ অত্যন্ত অভিজাত অথচ রক্ষণশীল। এখানে একজন মানুষ, অন্যেরা তাঁকে কীভাবে দেখবেন, সে বিষয়ে খুবই সচেতন।’ তিনি বলেন, ‘সমাজে বিয়ের পুরো কাজ মর্যাদার প্রতীক বলে বিবেচিত। সমাজে আপনার অবস্থান কোথায় হবে, তা এটি নির্ধারণ করে দেবে।’
অনলাইনভিত্তিক ঘটকালি সংস্থা কাপল ডটনেটের তথ্য অনুযায়ী, বাড়িভাড়া অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়াই এমন আকাশচুম্বী খরচের জন্য দায়ী। এই বাড়িভাড়াই বিয়ের মোট খরচের প্রায় ৭০ শতাংশ।’ রয়টার্স। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment