গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরকিউ-১৭০ নামের একটি ড্রোন আটক করে ইরান। ওই ড্রোন থেকে তথ্য উদ্ধার করে ইরানের প্রকৌশলীরা নতুন ড্রোন তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রভাবশালী ইউনিট রেভল্যুশনারি গার্ডের অ্যারোস্পেশিয়াল বিভাগের প্রধান জেনারেল আমির আলী হাজিদেয়া দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘আমি আপনাদের চারটি সংকেত (কোড) দিচ্ছি, এর ফলে মার্কিনিরা বুঝতে পারবে ড্রোন কৌশলের গোপনীয়তা উদ্ঘাটনে আমরা কত দূর পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে কিছু কারিগরি বিষয়ের জন্য ড্রোনটি ক্যালিফোর্নিয়া পাঠানো হয়, সেখানেই এটা মেরামত করা হয়। এর পর উড্ডয়ন পরীক্ষা শেষে ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে ড্রোনটি আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই সময় একের পর এক কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়, যা এখনো রয়ে গেছে।
জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছাকাছি একটি বিমানবন্দরে ড্রোনটির কিছু যন্ত্রপাতি ও সেন্সর মেরামতের জন্য পাঠানো হয় এবং উড্ডয়ন পরীক্ষা করা হয়। এর পর ড্রোনটিকে আবার কান্দাহারে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ইরান ওই ড্রোনটির অনুকরণে নতুন ড্রোন নির্মাণের কাজ করছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানান, গত বছর আল-কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আটকের সময় এ ড্রোনটির ভূমিকা ছিল। সম্প্রতি ইরানের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছিলেন, ড্রোনটি সম্পর্কে তথ্য জানাতে তেহরান সরকারের কাছে প্রচুর অনুরোধ আসে। সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখায় চীন ও রাশিয়া।
ড্রোনটি আটকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তা ফেরত দেওয়ার জন্য ইরান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তবে ওবামা প্রশাসন ড্রোনটি ইরানের আটকের ব্যাপারে তখন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, কারিগরি ত্রুটির কারণে ড্রোনটি মাটিতে নেমে যায়। এর পেছনে ইরানের কোনো প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপ কাজ করেনি। যদিও ইরানের যুক্তি ছিল, ড্রোনটির জিপিএস ব্যবস্থাপনায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ড্রোনটি আটকে সক্ষম হয় তারা। এএফপি ও রয়টার্স। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment