অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডেসটিনির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে তারা কিছু বললে আমি ব্যবস্থা নেব।’
সচিবালয়ে গতকাল রোববার সফররত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডেসটিনির বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম নিয়ে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকার প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রথমে অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। তবে ডেসটিনি গ্রুপের সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত এবং সে কারণেই সরকার ব্যবস্থা নিতে অনীহ কি না, এ প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, একজন জেনারেল সেখানে আছেন বলে আমি জানি।’
ডেসটিনি গ্রুপের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম জড়িত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমি জানি না’।
চিঠি দেবে স্থায়ী কমিটি: এদিকে, দেশের ১৭টি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি (এমএলএম) অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করছে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তারা অবৈধ ব্যাংকিংয়ের সঙ্গেও জড়িত। ডেসটিনিসহ এসব কোম্পানির অবৈধ ব্যাংকিং ও লেনদেন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি পাঠাবে।
সংসদ ভবনে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিটির সভাপতি এ বি এম আবুল কাসেম এসব কথা জানান। তিনি বলেন, এমএলএম কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের বিল দ্রুত সংসদে উত্থাপনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। কাজটি করতে কেন দেরি হচ্ছে, তা মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতেও চেয়েছে কমিটি।
আবুল কাসেম বলেন, আইনি কাঠামোতে আসার আগ-পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, যাতে তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে। এমএলএম কোম্পানিগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে কমিটির সভাপতি জানান।
কমিটি সূত্র জানায়, এমএলএম কোম্পানিকে আইনের আওতায় আনতে প্রণীত আইনের খসড়া সম্প্রতি সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এতে একটি পরিদপ্তরের মাধ্যমে এমএলএম কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণে খসড়া আইনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। বলা হয়েছে, পরিদপ্তরের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল সরকারের কাছে নেই। মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশে পরিদপ্তরের বিধান বাদ দিয়ে সরাসরি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এমএলএম কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে কমিটির অন্য সদস্য তহুরা আলী, মো. আবুল কাশেম, রুমানা মাহমুদ ও শেখ আফিল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment