আগে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নিজেদের মধ্যে সংষর্ঘে জড়িয়েছে জাতীয় পার্টির দুটি পক্ষও।
সোমবার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষে গোটা এলাকা কিছুক্ষণের জন্য রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ভাংচুর করা হয় অর্ধশতাধিক গাড়ি। এ সময় অন্তত ২৫ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৬টায় প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশের পরপরই প্রধান ফটকের বাইরে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা।
নবীনগর পেট্রোল পাম্পের সামনে বিএনপির সাবেক সাংসদ সালাউদ্দিন বাবুর সমর্থক এবং ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে পরস্পরের ওপর হামলা চালায়।
গাজীপুর-ঢাকা সড়কে প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয় এ সময়। হামলা চালানো হয় আশপাশের দোকানেও। আতঙ্কে লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে।
সাভার থানার ওসি (তদন্ত) মতিয়ার রহমান জানান, ১৫ মিনিটের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় উভয়পক্ষের প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হন। পুলিশ লাঠিপেটা করে সাড়ে ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংর্ঘষ চলাকালে বিএনপির প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির নেতা সেলিমা রহমান, খায়রুল কবির খোকন, ইলিয়াস আলীসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলীয় নেতার আসার অপেক্ষায় ছিলেন। খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন ৬টা ৪০ মিনিটে।
সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান, ছাত্রদল কর্মী ডালিম, আলামিন, রেজাউল করিম জুয়েল ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আযম, শাহেদ এবং মানিককে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করলে দলের দুটি পক্ষ ফুল দেওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দুই পক্ষের সমর্থকরা এ সময় পরস্পরের দিকে তেড়ে যায় এবং হাতিহাতিতে জড়ায়।
মিনিট পাঁচেক পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় বলে ওসি মতিয়ার রহমান জানান।
এ সময় আহত জাতীয় পার্টির সমর্থক মাজহারুল ইসলাম ও কামাল হোসেনকে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment