২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বে সুপেয় পানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এর সরবরাহকেও ছাড়িয়ে যাবে। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হবে এবং বিশ্ব খাদ্যবাজারে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগ প্রকাশিত এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়।
খাদ্য ও জ্বালানি উৎপাদন ব্যাহতকারী এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় দেখা দেবে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, সুপেয় পানির সরবরাহ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ হ্রাস পাবে। পানি নিয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে কোনো যুদ্ধের সম্ভাবনা না থাকলেও ২০৩০ সালের পর পানি নিয়ে সংঘাতের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
“১০ বছর পর আমরা দেখতে পাবো সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়ছে,” বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
“পানি সমস্যার সঙ্গে জড়িত রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ স্বার্থে কী সিদ্ধান্ত নেয় এটি তার ওপর ও পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ওই রাষ্ট্রগুলোর এ মুহূর্তে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর ওপর নির্ভর করবে”, বলেন তিনি।
তবে বিশেষ কোনো আন্তঃরাষ্ট্রীয় পানিবিরোধ নিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান ওই কর্মকর্তারা।
অতীতে পানি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়া রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্রধারী ভারত ও পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন এবং সিরিয়া ও ইরাকের নাম উল্লেখযোগ্য।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/
0 comments:
Post a Comment