রবীন্দ্রনাথ একবার একটা সভায় বসে ছিলেন। হঠাৎ রবিঠাকুর বলে উঠলেন, ‘এই ঘরে একটা “বাঁদোর” আছে।’
সবাই ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন। একে-অন্যের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলেন।
রবীন্দ্রনাথ এবার ব্যাপারটা পরিষ্কার করলেন, ‘আহা! এই ঘরের ডান দিকে যেমন একটা দোর (দরজা) আছে, তেমনি বাঁ দিকেও একটা দোর আছে, আমি তো ওটার কথাই বলছিলাম হে!’
বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ মোৎজার্টের সঙ্গে একবার দেখা করতে এল এক তরুণ। বলল, ‘সম্মানিত মোৎজার্ট, আমি একটা সিম্ফনি সৃষ্টি করতে চাই। আমাকে কী করতে হবে, বলুন তো?’
মোৎজার্ট বললেন, ‘শুরুতে ছোট ছোট সুর সৃষ্টি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করো। তারপর সিম্ফনি তৈরি করো।’
তরুণ বলল, ‘কিন্তু আপনি তো আমার চেয়ে অনেক ছোট বয়সেই সিম্ফনি তৈরি করেছেন!’
বিনয়ের সঙ্গে মোৎজার্ট বললেন, ‘আমি তো কারও কাছে উপদেশ নিতে যাইনি!’
বিজ্ঞানীরা বরাবরই কিছুটা ভুলোমনা হয়ে থাকেন, তবে এদিক থেকে আইনস্টাইন বোধ হয় একটু বেশিই এগিয়ে আছেন!
একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চড়ে যাচ্ছিলেন। চেকার এসে টিকিট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন কিছুতেই টিকিট খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শুধু বিড়বিড় করে বলছিলেন, ‘কোথায় যে রাখলাম টিকিটটা...।’
চেকার বললেন, ‘স্যার, আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটেই উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।’
আইনস্টাইন চিন্তিত মুখে বললেন, ‘না না! ওটা তো খুঁজে পেতে হবে! না পেলে জানব কী করে, আমি কোথায় যাচ্ছিলাম!’
মার্ক টোয়েনের লাইব্রেরিটা ছিল দেখার মতো। লাইব্রেরিজুড়ে কেবল বই আর বই। দেয়ালের সঙ্গে সার বেঁধে দাঁড় করানো, মেঝেতে স্তূপ করা, টেবিলের ওপর ছড়ানো—চারদিকে শুধু বই।
এসব দেখে মার্ক টোয়েনের এক বন্ধু বললেন, ‘এত বই জোগাড় করেছ, একটা বুকশেলফ জোগাড় করতে পারলে না?’
টোয়েন বললেন, ‘বইগুলো যেভাবে জোগাড় করেছি, বুকশেলফ তো আর সেভাবে জোগাড় করা যায় না। শেলফ তো আর বন্ধুদের কাছে ধার চাওয়া যায় না!’
বিখ্যাত গোয়েন্দা শার্লক হোমসের স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল বহু দিন ইতালিতে কাটিয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে এসেছেন। রেলস্টেশনে ট্যাক্সির দিকে এগিয়ে যেতেই চালক দরজা খুলে দিয়ে বলল, ‘গুড ইভিনিং মিস্টার ডয়েল!’
চমকে গেলেন ডয়েল। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি আমাকে চিনলে কী করে?’
বিনয়ের সঙ্গে বলল চালক, ‘স্যার, আপনাকে দেখেই বোঝা যায়, আপনি একজন সম্ভ্রান্ত ইংরেজ। আপনার চুল দেখে বোঝা যাচ্ছে, ইতালির কোনো সেলুন থেকে কাটা। আপনার গায়ের রংও ফ্রান্সের রোদ্দুরে ঘুরে ঘুরে হালকা বাদামি হয়ে গেছে। তা ছাড়া এ সময়ই একটা ট্রেন প্যারিসে আসে। সব মিলিয়ে মনে হলো, আপনিই কোনান ডয়েল!’
মুগ্ধ হলেন ডয়েল, ‘বাহ্! তুমি তো দারুণ করিৎকর্মা হে! তোমার নজর তো দেখছি শার্লক হোমসকেও হার মানায়!’
চালক: ‘ধন্যবাদ স্যার! আরেকটা ব্যাপারও স্যার আমার নজর এড়ায়নি। আপনার ব্যাগের ওপর লেখা আপনার নামটা!’
বিখ্যাত কৌতুক অভিনেত্রী বিয়াট্রিস লিলি একবার এক মধ্যাহ্নভোজে গেছেন। খাওয়ার সময় বিয়াট্রিস লিলির টেবিলেই বসেছেন মডেলিং জগতে নবাগতা এক অপরূপ সুন্দরী। আমন্ত্রিত অতিথিদের সবাই বারবার ফিরে তাকাচ্ছিলেন সেই সুন্দরীর দিকে।
এমন সময় বিয়াট্রিসেরই এক পরিচিত বন্ধু বিয়াট্রিসের কাছে একটা ছোট্ট চিরকুট পাঠালেন, ‘হ্যালো! তোমার টেবিলে বসা ওই রূপসী কে?’
বিয়াট্রিস উত্তরে লিখলেন, ‘আমি!’
লেখক জি কে চেস্টারটনের সঙ্গে অনেক দিন বাদে বার্নার্ড শর দেখা।
শকে দেখে চেস্টারটন বললেন, ‘শ, তোমাকে দেখে তো লোকজন ভাববে, ইংল্যান্ডে দুর্ভিক্ষ চলছে!’
শ বললেন, ‘হু। আর তোমাকে দেখে ভাববে, সেই দুর্ভিক্ষের জন্য তুমিই দায়ী!’ prothom-alo
0 comments:
Post a Comment