কেবল ওই শ্রেণীকক্ষ নয়, নারী-পুরুষের এই সংখ্যা-বৈষম্য ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ওই গ্রামজুড়েই। রাজ্যের জুইসালমার জেলার দেবদা গ্রাম এটি।
আড়াই হাজার বাসিন্দার ওই গ্রামে মেয়েশিশু বলতে হাতে গোনা কয়েকজন। এর মধ্যে পদ্মা একজন। এই ব্যাপক বৈষম্যের চক্করে পড়ে পদ্মার বড় বেহাল অবস্থা। তার কোনো সঙ্গী নেই, খেলার সাথি নেই। স্কুলে সারাক্ষণ বেশ অস্বস্তির মধ্যে থাকতে হয় তাকে। গ্রামে নারীর সংখ্যা এত কম হওয়ার কারণ হিসেবে পদ্মা বলেছে, এখানে মেয়েরা মরে যায়।
দেবদা ও আশপাশের গ্রামের মেয়েরা এমনি এমনি মরে যায় না। ওদের হত্যা করা হয়। মেয়েশিশু হত্যা করা প্রাচীন রীতি। দেবদা গ্রামের এক কৃষকের নাম রাজন সিং। ভাট্টি রাজপুত বংশের দুই ছেলের জনক রাজন সিং গর্ব করে বলেন, ‘আমরা ছেলেশিশুর জন্য উন্মুখ থাকি, আর কন্যাশিশুর জন্ম হলে শোক প্রকাশ করি।’
রাজন বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেয়েশিশুকে জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা করা হয়। শিশুটির মা বা ধাত্রী এই কাজ করে। শিশুর মুখে বালিশ চাপা দেওয়া হয় বা মা তাঁর মেয়েশিশুকে বুকের দুধ দেন না। এতে একপর্যায়ে না খেয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়। এএফপি।
0 comments:
Post a Comment