সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
ভালোবাসা কি?
“ভালোবাসা আসলে কি? দেয়া যায় কি ভালোবাসার কোন সংজ্ঞা?
আমি মনে করি ভালোবাসার কোন সংজ্ঞা নেই, নেই কোন মাপকাঠি। ভালোবাসা হলো
নিঃস্বার্থভাবে প্রিয় মানুষটির জন্য মঙ্গল কামনা। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা । বিশেষ
কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। আবার ভালোবাসাকে অনেকে
বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখে থাকে। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন:
নিস্কাম ভালোবাসা, প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, গরিব,
অনাথ প্রতিবন্ধিদের ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে আবেগধর্মী যে ভালোবাসা সেটা হলো সবচেয়ে গভীরতম ভালোবাসা। যে। যেখানে শরীরের ব্যাপারটাকে আলাদা করে দেখা যায় না। ভালোবাসার এই আবেগটাকে সেই সত্যিকার ভাবে অনুধাবন করতে পারে যখন কেউ প্রকৃত প্রেমে পড়ে। ধনাত্নক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেয়া
যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা একটা গৌণ বিষয়। এখানে
মানবিক আবেগটাই বেশী গুরুত্ববহন করে। কল্পনাবিলাসীতার একটা ক্ষেত্র হচ্ছে
এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব্ব নয়। যদিও কিছু
সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অবিহিত করা যায়। প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
ভালোবাসার নানা বিশ্লেষন করতে থাকলে ভালোবাসার ডালপালা গজাতেই থাকবে। সে
ডালে ঝুলতে থাকবে ভালোবাসার নানা অনুকাব্য। বন্ধুগণ চলুন জেনে নেই লেবাননের
বিখ্যাত সাহিত্রিক “কাহলিল জিবরান ” তার বিখ্যাত বই “দ্য প্রফে “ -এ ভালোবাসা বিষয়ে কি বলেছেন। আমার মতে ভালোবাসা বিষয়ে তার কথাগুলিই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত ও সুন্দর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
ভালোবাসার সঙ্কেত এলে অনুসরণ
করো তাকে;
যদিও পথ বড়ো কঠিন আর বিষম
চড়াইয়।
যদিও তার ডানার অন্তরালে
লুকানো তরবারি
আঘাত করতে পারে তোমাকে!
ভালোবাসা যখন কিছু বলে
বিশ্বাস করো তাকে:
যদিও তার স্বর ভেঙ্গে ফেলতে
পারে তোমার স্বপ্ন
যেমন উত্তরের বাতাস তছনছ
করে দেয় বাগান।
ভালোবাসা যেমন পরিয়ে দেয়
উষ্ণীষ,
তেমনি সে ক্রুশে বিদ্ধ করতে পারে তোমাকে;
যেমন সে তোমার বৃদ্ধির কারণ
তেমনি সে ছেঁটে ফেলতে পারে
তোমাকে।
এমনকি, ভালোবাসা যেমন
উত্তীর্ণ হতে তোমার উচ্চতায়
আর চুমু খেতে পারে তোমার
কোমল ডালপালায়
যা কেঁপে কেঁপে উঠছে রৌদ্র-
তেমনি সে নেমে আসতে পারে
তোমার শিকড়ে
আর আলগা করে দিতে পারে মাটির
বাঁধন।
ফসলের আঁটির মতো সে সংগ্রহ
করে রাখবে তোমাকে।
তোমাকে নির্বসন করে ঝেড়ে
ফেলবে সব শস্য।
সমস্ত খোসা থেকে তোমাকে চেলে
নেবে চালুনির মতো।
সে তোমাকে পিষে ফেলবে সমগ্র
শুভ্রতায়।
তোমাকে ঠাসতে থাকবে যতক্ষণ
না তুমি হয়ে উঠছো
নরম, তুলতুলে;
তারপর সে তোমাকে নিক্ষেপ
করবে তার পবিত্র আগুনে-
যাতে তুমি হয়ে উঠতে পারো
এককন্ড পবিত্র রুটি
ঈশ্বরের পবিত্র ভোজনের জন্য,
ভালোবাসা এইভাবে বুঝতে দেবে তোমার হৃদয়ের সমূহ গোপন,
আর সেই অর্জিত প্রজ্ঞায়
তুমি হতে পারবে জীবনের একটুকরো অংশ।
কিন্তু যদি ভীরু হয়ে তুমি
খোঁজো শান্তি আর সুখ
ভালোবাসায়,
তাহলে ঢেকে ফেলো তোমার
নগ্নতা আর পেরিয়ে চলো
প্রেমের শস্যমাড়াই-এর ক্ষেত-
চলে এসো এক ঋতুহীন পৃথিবীতে
যেখানে তুমি হেসে উঠবে,
কিন্তু যা নয় তোমার সবখানি হাসি
যেখানে তুমি কেঁদে উঠবে
কিন্তু যা নয় তোমার সবটুকু
কান্না।
ভালোবাসা দেয় না কিছু, শুধু
নিজেকে ছাড়া;
ভালোবাসা নেয় না কিছু, শুধু
ভালোবাসা ছাড়া।
ভালোবাসা অধিকার করে না
কিছু্ই, না তাকে অধিকার করা যায়;
কেননা, ভালোবাসা সুসম্পন্ন
ভালোবাসাতেই।
যখন ভালোবেসেছো তুমি
কখনও বলোনা –ঈশ্বর হৃদয়ে
আমার।
বরং বলো- ঈশ্বরের হৃদয়ে
রয়েছি আমি।
ভেবোনা কখনও নির্ধারিত করে
দেবে তুমি প্রেমের চলার পথ;
কেননা, যোগ্য যদি মনে করে-
প্রেমই চালিয়ে নেবে তোমাকে।
ভালোবাসার অভিলাষ নেই কোনও
কিছু নিজেকে সম্পূর্ণ করা ছাড়া।
কিন্তু যদি ভালোবেসে অভিলাষ
রাখতে হয় কিছু
তাহলে প্রার্থনা করো এইসব:
বিগলিত বয়ে যাও ছোট্ট সেই
নদীর মতোন
রাত্রিকে গান যে শোনায়।
বুঝে নাও কোমল বেদনা।
যে টুকু বুঝেছো ভালোবাসা তাই
বুঝে নির্যাতিত হও;
আনন্দে ও স্ব-ইচ্ছায়
বিনির্গত হোক রক্তধারা।
জেগে ওঠো ভোরে
হৃদয়ে নতুন ডানায়,
আর একটি প্রেমাতুর দিন পেলে
বলে ধন্যবাদ দাও;
দুপুরের শ্রান্তির মধ্যে
ধ্যান করো প্রেমের উচ্ছ্বাস;
সন্ধ্যায় ফিরে এসো
কৃতজ্ঞতায়;
রাত্রিতে ঘুমাও
প্রেমিকের জন্য বুকে রেখে নীরব প্রার্থনা,
আর দুই ঠোঁটে প্রেমময় গান।।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
প্রকৃতির কবিতা,
প্রেম,
ভালোবাসা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- মিলনের উর্বর ও নিরাপদ সময়!
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
Popular Posts Last 7 Days
- মিলনের উর্বর ও নিরাপদ সময়!
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- গীতা সারাংশ
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- VIRGO YEARLY 2011 HOROSCOPES
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment