উপলক্ষ বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস
দিবস দুটি উপলক্ষে গদখালীতে এবার দুই কোটি টাকার ওপরে ফুল বেচাকেনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত দুই দিনে (শনি ও রোববার) পৌনে এক কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে। গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
যশোর শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার পশ্চিমে যশোর-বেনাপোল সড়কের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে দেশের বৃহত্তম পাইকারি ফুলের মোকাম। সেখানে সপ্তাহের প্রতিদিনই ভোর ছয়টা থেকে ফুলের হাট বসে এবং নয়টার মধ্যেই বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়।
ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়েই এই হাটে প্রতিদিন ছয় থেকে আট লাখ টাকার ফুল বেচাকেনা হয়। তবে প্রতিবছরই ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত উৎসব বা পয়লা ফাল্গুন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এখানে ফুলের বিক্রি অনেক গুণ বেড়ে যায়। ১১ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা। এ সময় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকার ফুল বেচাকেনা হয়।
আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফুলের বেচাকেনা বেড়েছে। গত দুই দিনে গদখালী থেকে অন্তত ৭৫ লাখ টাকার ফুল দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার আরও এক কোটি টাকার বেশি মূল্যের ফুল বিক্রি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গদখালী থেকে এবার যেসব ফুল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়, তা হলো: গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, নানা রঙের গ্ল্যাডিওলাস ও জারবেরা।
স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ী রনি আহম্মেদ প্রথম আলোকে জানান, রোববার গদখালীর মোকামে প্রতিটি জারবেরা ১৮ থেকে ২০ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রজনীগন্ধার প্রতিটি ডাঁটা সাত থেকে আট টাকায় এবং গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে পাইকারি বেচাকেনা হয়েছে। তিনি গতকাল রোববার গদখালী মোকাম থেকে ৫০ হাজার টাকার ফুল কিনে বগুড়া, ফেনী ও গাইবান্ধার বিভিন্ন মোকামে পাঠিয়েছেন বলে জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর যশোর অঞ্চলে ৪৬১ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ঝিকরগাছা ও শার্শা এলাকায় সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment