দশকের পর দশক ধরে এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা চলেছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা গ্রহণযোগ্য কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি।
সম্প্রতি হাঙ্গেরি ও সুইডেনের বিজ্ঞানীরা অমীমাংসিত এ রহস্য সমাধানের দাবি করেছেন। তাঁরা বলছেন, ডোরাকাটা দাগের কারণে রক্তচোষা মাছি জেব্রার কাছে ঘেঁষতে পারে না।
দ্য জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি সাময়িকীতে বিজ্ঞানীদের এই গবেষণাবিষয়ক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগ থাকার কারণে রক্তচোষা মাছি জেব্রার প্রতি আকৃষ্ট হয় না।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন ডোরাকাটা সাদা-কালো দাগ থেকে যে আলো প্রতিফলিত হয়, এর ফলেই মাছি জেব্রার শরীরে বসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সুসানি একেসন বলেন, গবেষণাটির জন্য প্রথমে কালো, বাদামি ও সাদা রঙের ঘোড়া বেছে নেওয়া হয়েছিল। দেখা গেছে, বাদামি ও কালো রঙের ঘোড়া থেকে অনুভূমিকভাবে সমবর্তিত (হরাইজন্টালি পোলারাইজড) আলোর প্রতিফলন ঘটে। এতে কালো রঙের ঘোড়ার প্রতি মাছিরা অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়।
এর অর্থ হচ্ছে, কালো রঙের ঘোড়ার শরীরের ওপর আলো পড়লে ঘোড়াটি চলার পথে ওই আলো আন্দোলিত হয়। ক্ষুধার্ত মাছি অনুভূমিকভাবে ওড়ার সময় আলোর ওই তরঙ্গে আকৃষ্ট হয়।
অন্যদিকে সাদা রঙের ঘোড়া থেকে অসমবর্তিত আলো প্রতিফলিত হয়। এ কারণে মাছিরা সাদা রঙের ঘোড়ার প্রতি আকৃষ্ট হয় না। দেখা গেছে, কালো রঙের ঘোড়ার চেয়ে সাদা রঙের ঘোড়ার গায়ে এই ক্ষতিকর মাছি তুলনামূলকভাবে কম বসে।
একেসন বলেন, কালো রঙের ঘোড়ার প্রতি মাছির আগ্রহ বেশি থাকার কারণে ওই বিষয়টি আরও ভালোভাবে পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয় জেব্রাকে। গবেষক দল চেয়েছিলেন, সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগের কারণে জেব্রার শরীর থেকে কী ধরনের আলো প্রতিফলিত হয়। এতে মাছির আগ্রহের ক্ষেত্রে কোনো তারতম্য ঘটে কি না, তা পরীক্ষা করাও ছিল ওই গবেষণার লক্ষ্য। বিবিসি।
0 comments:
Post a Comment