এ বছর এপ্রিলে হ্যাক হয়ে গিয়েছিলো সনির প্লেস্টেশন নেটওয়ার্ক। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সনি। হ্যাকাররা সব তথ্য চুরি করে নেয়। উপর্যপুরি আক্রমণের শিকার হওয়া এ ঘটনাটিই ছিলো হ্যাকিং ক্ষেত্রে বছরের সবচেয়ে বড় ঘটনা।
আইসক্রিম স্যান্ডউইচ নামের গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম তথ্য জানা গেলো মে মাসের ১০ তারিখে। অপারেটিং সিস্টেমটির প্রিভিউ মিললো ১৯ অক্টোবর এবং বাজারে আসলো ১৭ নভেম্বর। এ অপারেটিং সিস্টেমটির সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৪.০। বর্তমানে স্মার্টফোন বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওএস অ্যান্ড্রয়েড।
জুনে এলো গুগল প্লাস। গুগল ওয়েভ, গুগল বাজসহ বেশ কয়েকটি সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট জনপ্রিয়তার বাজার ধরতে না পারলেও হতোদ্যম না হয়ে গুগল কর্তৃপক্ষ ২৮ জুন আনলো গুগল প্লাস। চালু হবার পর বছর ৬ মাসেই ৬ কোটি ব্যবহারকারী এখ গুগল প্লাস-এর।
পুরো জুলাই জুড়ে ছিলো ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে আনার ধুম। খ্যাতনামা অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানই জুলাই মাসে ট্যাবলেট বাজারে এনেছে। মটোরোলা জুম, এসার আইকনিয়া এ ৫০০ ট্যাব, তোশিবা থ্রাইভ, স্যামসাং গ্যালাক্সি ১০.১, আসুস ট্রিপল ই প্যাড ট্রান্সফর্মার, এইচপি টাচপ্যাড, রিম প্লেবুক। এসব ট্যাবগুলোর ডেমো অবশ্য জানুয়ারী মাসে লাভ ভেগাসে অনুষ্ঠিত সিইএস মেলায় দেখিয়েছিলো প্রতিষ্ঠানগুলো। আর ২০১১ সাল যে ট্যাবলেট কম্পিউটারের বছর হবে তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রযুক্তিবিদরা।
আগস্ট মাসে মটোরোলার মোবিলিটি অংশকে কিনে নিলো টেক জায়ান্ট গুগল।
এইচপি টাচপ্যাড তৈরি বন্ধ করলো আগস্টে। তারা হার্ডওয়্যার থেকে সফটওয়্যার ব্যবসায় মোড় নেবার কথা জানালো। এইচপির টাচপ্যাড বাজারে আসার তিন মাস না পোরোতেই এর উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এইচপি’র কর্তৃপক্ষ। জনপ্রিয়তায় ধ্বস এবং কম্পিউটার ব্যবসায় উন্নতি করতে এইচপি মোড় নেয় সফটওয়্যার-এ।
আগস্টেই আবারো হারালো আইফোন প্রটোটাইপ। অ্যাপল-এর আইফোন বাজারে আসার আগেই বার থেকে হারিয়ে ফেললেন অ্যাপল-এর এক প্রোকৌশলী। এ নিয়ে জল ঘোলা হলেও অ্যাপল তার আর হদিস পেলো না। আইফোনের এ সংস্করণটিকে বলা হচ্ছিল আইফোন ৫। কিন্তু পরে অবশ্য, অ্যাপল এ সংস্করণ আর বাজারে আনেনি।
পরের মাসেই সেপ্টেম্বরে কিন্ডল ফায়ার নিয়ে ট্যাবলেট বাজারে এলো অ্যামাজন। অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজন মাত্র ১৯৯ ডলারেই এই ট্যাবলেট বাজারে আনলো। এটি জনপ্রিয়তাও পেলো দ্রুত।
অক্টোবরের ৪ তারিখে এলো আইফোন ৪এস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সফটওয়্যার সিরি। আইফোন ৫ নিয়ে গুজবের ছড়াছড়ি থাকলেও আইফোন ৪ এস আনলো অ্যাপল। তবে, সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো ভার্চুয়াল এই সফটওয়্যার সিরি’র।
পরের দিনই ৫ অক্টোবর মারা গেলেন স্টিভ জবস। তবে, চলে যাবার আগে অ্যাপলকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কোম্পানি এবং অর্থবিত্তে মার্কিন সরকারের চেয়েও ধনী রেখে গেছেন।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment