প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন এবং ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও সাংসদ এবং তিন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর কাছে বিভিন্ন অনুযোগ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সেগুলো পূরণের আশ্বাস দেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের একজন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষও তা-ই চায়।’
প্রধানমন্ত্রীর পর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দেন।
সকাল সাতটার পর স্মৃতিসৌধ সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সকাল পৌনে আটটার দিকে স্মৃতিসৌধে আসেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলছি আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। কিন্তু সেটা অবশ্যই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। সেটা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে জন্য প্রক্রিয়া চালাতে হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য সরকারি দলের ভূমিকা মুখ্য। আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার সে ভূমিকা পালন করবে।’
বিএনপির আগে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এ সময় দলটির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
মইনুদ্দীন খান বাদলের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে আসেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) নেতা-কর্মীদের একটি দল। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মনজুরুল আহসান খানের নেতৃত্বে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন দলের পক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। জাসদের নেতা আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে বেদীতে ফুল দেন একদল নেতা-কর্মী। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পক্ষে ফুল দিতে আসেন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবিব ও সুব্রত ঘোষ।
মানুষের ঢল: রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাহায্য সংস্থা, এনজিও, পেশাজীবী সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসহ অগণন মানুষ স্মৃতিসৌধে এসে শ্রদ্ধা জানায়।
0 comments:
Post a Comment