সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
মনের সীমানা মানাই মঙ্গল!
স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি মানুষের জন্য
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ দুটি বিষয়ের মাধ্যমেই একজন মানুষের মানসিক
উৎকর্ষ বোঝা যায়। যে মানুষের মধ্যে এ দিকটি যত বেশি প্রবল, সব স্থানে তারই
তো জয়জয়কার! আর তাই মানুষ চায় নিজের মনের দিকগুলোর ক্ষমতা বাড়াতে। এ
জন্য অনেক ওষুধও বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, মনের ক্ষমতার
একটি সর্বোচ্চ সীমারেখা আছে। প্রকৃতি-নির্ধারিত ওই সীমাটি অতিক্রম করা ঠিক
নয়। ওষুধ বা যেকোনো উপায়ে এর ক্ষমতা বাড়ালে তা মানুষের জীবনে বিপর্যয় ডেকে
আনতে পারে।
ওয়ারউইক ও বাসেল
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস ঘেঁটে তাঁরা এ
সিদ্ধান্তে পেঁৗছেছেন। তাঁরা বলছেন, মানুষ এখন যতটা বুদ্ধিমান ও স্মার্ট,
এর চেয়ে আরো অনেক বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন সে অনুভব করে। এ চাহিদার
কথা বিবেচনা করে বাজারে ওষুধও বিক্রি হচ্ছে ঢের। কিন্তু বিবর্তনের ইতিহাস
ঘেঁটে দেখা গেছে, সবকিছু যেভাবে এগিয়েছে, তাতে এরই মধ্যে মানুষের আরো অনেক
বেশি বুদ্ধিমান ও স্মার্ট হয়ে ওঠার কথা। তবে তা হয়নি। প্রাকৃতিক কারণেই এ
সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। মানুষ যদি আরো বেশি বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তির অধিকারী
হতো, তবে তা বিপর্যয় ডেকে আনত। এর থেকে বাঁচতেই প্রাকৃতিকভাবে এখনকার
সীমারেখায় এসে বুদ্ধির বিকাশ থেমে গেছে।
কারেন্ট
ডিরেকশনস নামের সাময়িকীতে এ বিষয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা
জানিয়েছেন, বেশি স্মৃতিশক্তি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যেমন- আমাদের জীবনে
অপ্রত্যাশিত ও বেদনাদায়ক এমন অনেক কিছুই ঘটে, যেগুলোর কথা ভুলে গিয়ে আমরা
নতুন করে পথচলা শুরু করতে চাই। কিন্তু স্মৃতিশক্তি আরো বেড়ে গেলে আর তা
সম্ভব হবে না। এর পরিণতি কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। আবার অনেকে চায় নিজের
মনের শক্তি তথা মনোযোগের শক্তি বাড়াতে। এটিও হতে পারে বিপজ্জনক। যেমন_গাড়ি
চালানোর সময় অবশ্যই মনোযোগ দরকার। কিন্তু তা শুধু আশপাশের অন্যান্য
গাড়ি-ঘোড়ার গতিবিধি সামলে চলার জন্য। কিন্তু মানুষের মনোযোগের ক্ষমতা যদি
আরো বেশি হয়, তবে সে পথ চলতে গিয়ে প্রতিটি বিষয় খেয়াল করবে। রাস্তার পাশে
ঝোলানো রঙিন সাইনবোর্ড, বাতাসের প্রবাহ, আশপাশ থেকে ভেসে আসা গান ইত্যাদি
সবকিছু নিয়েই তার মনোযোগ আবর্তিত হবে। এর পরিণতি হতে পারে বিপজ্জনক।
গবেষকদলের
সদস্য থমাস হিলস ও রালফ হার্টউইগ জানিয়েছেন, বিবর্তনের ধারা অনুযায়ী
এতদিনে মানুষের স্বাভাবিক উচ্চতা ৮ ফুট ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ছোট্ট
একটি হৃৎপিণ্ডের পক্ষে এত দীর্ঘাকৃতির শরীরে সঠিকভাবে রক্ত পরিসঞ্চালন করা
সম্ভব নয়। তাই প্রকৃতির নিয়মেই মানুষের স্বাভাবিক গড় উচ্চতা ৬ ফুটের নিচে।
আবার মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের আকৃতি গর্ভের কাঠামোগত কারণেই ছোট
থাকে। বড় আকারের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বেশি হয়। আর বিবর্তনের সূত্র অনুযায়ীই
মায়ের গর্ভে সন্তানের মস্তিষ্কের আকার প্রতিনিয়ত বড় হতে থাকার কথা। কিন্তু
এমনটিও হয়নি। কয়েক শ বছর আগে যেমনটি ছিল, আজও মোটামুটি তাই আছে। এর পেছনেও
প্রকৃতির সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার অবদান রয়েছে। কেননা ভ্রূণের মস্তিষ্কের
আকার এর চেয়ে বড় হলে গর্ভের ভেতর এর পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান হতো না এবং
গর্ভেই শিশুমৃত্যুর হার অনেক বেড়ে যেত। প্রতিবেদনে গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের মনের বিভিন্ন ক্ষমতা যেমন_মনোযোগ,
স্মৃতি ও বুদ্ধি_এগুলো প্রকৃতিই একটি সীমারেখায় বেঁধে দিয়েছে। আর তা
মানুষের মঙ্গলের জন্যই। কাজেই অযথা প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে এ ক্ষমতা
বাড়ানোর চেষ্টা না করাই মঙ্গল। যেমন যাদের বুদ্ধিমত্তার মাত্রা স্বাভাবিকের
চেয়েও একেবারেই কম, তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বাজারে পাওয়া ওষুধগুলো
কিছুটা উপকারে আসে। আর যাদের মধ্যে কোনো ঘাটতি নেই_শুধু আরো বেশি ক্ষমতা
অর্জনের চেষ্টায় যারা এসব ওষুধ খায়, তাদের ক্ষেত্রে উল্টো প্রতিক্রিয়া হয়; তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অবসন্ন ও
বিষাদগ্রস্ত অনুভব করে, ফলে স্বাভাবিক স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিও তারা হারিয়ে
বসে। তাই প্রকৃতিকে অস্বীকার করে কৃত্রিম উপায়ে মনের উৎকর্ষ বাড়িয়ে তোলার
চেষ্টা করাটা আসলে বোকামি ও দুর্ভাগ্য ডেকে আনা ছাড়া আর কিছু নয়।
সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
গবেষনা,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,
মুক্তচিন্তা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ভালোবাসা-০২
- বাঁচতে হলে হাসতে হবে
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment