বারডেম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান তাহমিনা বেগম বলেন, এ সময়ে ঠান্ডার কারণে অনেকেই শিশুকে গোসল না করিয়ে রাখেন। এটা ভুল সিদ্ধান্ত; বরং শিশুর পরিচ্ছন্নতার কথা মাথায় রেখে নিয়মিত কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো উচিত। নিয়মিত গোসল না করালে শিশুর শরীরে ফুসকুড়ি, চুলকানি আর ছত্রাকের সংক্রমণসহ নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে। সপ্তাহে দুই দিন শিশুদের উপযোগী সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। চুল কিছুটা বড় হলে শিশুদের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ভালো। তবে অবশ্যই গোসল শেষে চুল ভালো করে মুছতে হবে। শিশুর পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিয়েই তাহমিনা বেগম বলেন, শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পূর্ণবয়স্ক মানুষের চেয়ে কম। তাই তিনি মনে করেন, চর্মরোগ আছে এমন ব্যক্তির উচিত নয় কোনো শিশুকে কোলে নেওয়া বা তার কাছাকাছি আসা। এ সময়ে শিশুকে মোটা সুতি কাপড়ের পোশাক পরানোই ভালো।
হেয়ারোবিকস ব্রাইডালের প্রধান পরিচালক রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন বলেন, এই ঋতুতে শিশুকে পরিচ্ছন্ন রাখতেই গোসল অপরিহার্য। তবে খুব ছোট শিশু এবং ঠান্ডার সমস্যা আছে এমন শিশুর ক্ষেত্রে গরম পানি দিয়ে পুরো শরীর স্পঞ্জ করা যেতে পারে। অনেকেই শিশুকে জবজবে করে সরষের তেল মাখিয়ে গোসল করিয়ে থাকেন। এতে গোসল শেষে চুল ভেজা থাকে এবং শিশুর ঠান্ডা লাগে। শিশুদের উপযোগী কম ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। গোসল শেষে লোশন ব্যবহার করতে হবে। চাইলে শিশুকে অপেক্ষাকৃত হালকা তেল মাখানো যেতে পারে। নারকেল তেল, জলপাই তেল কিংবা নারকেল তেলের সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে শিশুর পুরো শরীরে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। তেল ম্যাসাজের সময় বুক ও পেটে চক্রাকারে ম্যাসাজ করতে হবে। হাত ও পা ওপর থেকে নিচে আস্তে আস্তে টেনে টেনে ম্যাসাজ করতে হবে। এই ঋতুতে ছোট শিশুকে দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াপার পরিয়ে রাখা উচিত নয়। ভেজা ডায়াপার থেকে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে কিংবা ত্বকে র্যাশ উঠতে পারে। সূর্যের আলোয় ভিটামিন-ডি আছে। ভিটামিন-ডি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তবে বেলা ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত শিশুকে রোদে না নেওয়াই ভালো।
ঋতু পরিবর্তনের এই পালায় শিশুর খাবার হতে হবে নিয়মিত। আর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর উপযোগী সাবান, শ্যাম্পু, লোশন কিংবা তেল ব্যবহার করতে হবে। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment