বিইএ টেলিভিশনের সাংবাদিকদের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। বিইএ ঐশ্বরিয়ার সন্তান জন্মের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যম যে কভারেজ দিয়েছে তাতে ১০টি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, তারকাদের এ ধরনের খবরগুলোকে চাঞ্চল্যকর হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। তাদের এ ধরনের খবরগুলো তথ্যের ভিত্তিতে প্রচার করতে হবে। গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, ঐশ্বরিয়া যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তার আশেপাশে কোন ধরনের গাড়ি, ক্যামেরা পাঠানো যাবে না। এ ধরনের খবরের জন্য এক মিনিট বা ৯০ সেকেন্ডের বেশি সময় বরাদ্দ রাখা যাবে না।
এরআগে অমিতাভ বচ্চন তাঁর ব্লগে এক পোস্টে লিখেছেন, ঐশ্বরিয়া কীভাবে তার জন্মদিন উদযাপন করছেন তা নিয়ে গণমাধ্যমগুলো রীতিমতো মুখরোচক গল্প শুরু করেছে। ঐশ্বরিয়া ১১ নভেম্বর সন্তানের জন্ম দেবেন কীনা তা নিয়েও গণমাধ্যমগুলো একেক ধরনের গবেষণা শুরু করেছিল। এটি নিয়ে কোটি কোটি ডলারের বাজি ধরেন ভক্তরা। বিইএ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে সচেতন করেছেন। সেটি হলো, ভারতের গণমাধ্যমগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর কভারেজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত খবরের একটা বড় অংশ জুড়েই থাকে তারকাদের খবর।
বিইএর সাধারন সম্পাদক এন কে সিং সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলেছেন, ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মারকান্দে কাতজু ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমগুলোতে একটি মতামত জরিপের দাবি জানান। তিনি বলেন, যদি জনগনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গণমাধ্যম দারিদ্র্যকে লুকাচ্ছে ও উন্মাদনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে—এটা সঠিক কী-না। এর উত্তরে ৯০ শতাংশ মানুষই হ্যাঁ সূচক জবাব দেবে। বিবিসি প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment