গতকাল মঙ্গলবার সিরডাপ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলা হয়।
সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, নির্যাতন বাড়ছে, এ তথ্য ঠিক নয়। সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে এখন নির্যাতনের খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যের নৈতিকতা, সততা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু বেশির ভাগ পুলিশ সদস্যই সংবেদনশীল।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি মাসুদা রেহানা চলতি বছরের আট মাসের নারী নির্যাতনের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তাতে বলা হয়, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ৫৪টি বেআইনি ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে ৮৯৯টি উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। আর উত্ত্যক্তের জন্য ২৫ জন আত্মহত্যা করেছে।
মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, নারীরা ভয়াবহ পাশবিকতার শিকার হচ্ছে। ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। একপর্যায়ে সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করেছিল। তখন ইভ টিজিং, হত্যা, আত্মহত্যা কমে এসেছিল। এখন আবার এসব ঘটনা বেড়েছে।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সৃজনী ত্রিপুরা বলেন, আদিবাসী নারীদের সুবিচার নিশ্চিত হচ্ছে না। পানছড়িতে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। এজাহার ঠিকমতো না হওয়ায় তিনি সুবিচার পাননি। এমন অনেক উদাহরণ আছে।
উইমেন ফর উইমেনের রাশেদা আক্তার খানম বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে মামলা হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার কারণে অনেক সময় আলামত নষ্ট হয়ে যায়। তারা মিটমাট করে ফেলার পরামর্শ দেয়।
অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী রওশন জাহান, অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের উজ্জ্বলা বণিক, কমিউনিটি মেডিকেল সার্ভিসের জিয়াউল ইসলাম, জাতীয় মহিলা জোটের আফরোজা হক প্রমুখ। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment