শুধু নিকোলাই নয়, তাঁর মতো আরও অনেকেই নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে রাশিয়া ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, রাশিয়ার ২০ শতাংশ লোক ভালো চাকরির আশায় বিদেশে যেতে চায়। রাশিয়ার জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল, চিকিত্সাসেবাও দুর্বল। এ ছাড়া দেশের সব জায়গায় দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। তাই মেধাবীরা মনে করছেন, সে দেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মতো পরিবেশ নেই।
ক্যারিয়ার গড়তে নিকোলাইয়ের মতো আলেকজান্দার সিসেনিনও বিদেশে যেতে চান। তিনি কাজ করছেন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন মেইল ডট আরইউতে। কিন্তু তিনি তাঁর কর্মজীবনে সন্তুষ্ট নন। সিসেনিন বলেন, ‘আমি বিদেশে চাকরির চেষ্টা করছি। রাশিয়ার যা রাজনৈতিক অবস্থা, তাতে করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করার মতো কেউ নেই। রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থাতেও আমি খুশি নই।’ তিনি বলেন, মস্কোর বাইরে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকার মতো বেতনে একটা চাকরি পাওয়া যায়।
মস্কো স্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলেছে, রাশিয়া নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানীদেরকে হারাচ্ছে। সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী আলেকজান্দার জাখারভ বলেছেন, রাশিয়ায় নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানীরা কম থাকছেন।
এলএলসি নামে একটি কনসালটিং গ্রুপে কাজ করেন আলেকজান্দার আজিনস্কি। তাঁরা অভিবাসন নিয়ে কাজ করেন। আলেকজান্দার আজিনস্কি বলেন, রাশিয়ার পরিস্থিতি এখন অস্থিতিশীল। বিত্তবানদের অনেকেই এখন রাশিয়ায় বিনিয়োগ করতে চায় না। তারা বিদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী। এমনকি তারা তাদের সন্তানদেরও বিদেশের স্কুলে ভর্তি করাতে চায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়ায় এ রকম মেধাশূন্যতার কারণ কেবল অর্থ উপার্জন নয়। কারণটা হলো, রাশিয়ার অস্থিতিশীল আর্থ-সামাজিক অবস্থা। আর এসব কারণে অনেকেই ভাবছেন ভ্লাদিমির পুতিন ভবিষ্যতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট না-ও হতে পারেন। কারণ, তিনি দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না।
0 comments:
Post a Comment