জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মেথুয়াকান্দা গ্রামের নুরুল ইসলামের তিন ছেলে সারোয়ার হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন ও মো. জুয়েল রানা এ বছর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি কেয়ার ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার পদে তিনটি ঠিকানা ব্যবহার করে নিয়োগ লাভ করেন। দুই ভাই সারোয়ার হোসেন ও তোফাজ্জল হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামকে স্থানীয় ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেন। অপর ভাই জুয়েল রানা জামপুর ইউনিয়নের পাকুণ্ডা গ্রামকে স্থানীয় ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেন। নিয়োগপত্রের শর্তাবলির ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ রয়েছে, কোনো প্রার্থীর স্থানীয় ঠিকানা ভুল প্রমাণিত হলে তাঁর নিয়োগপত্র বাতিল করা হবে।
স্থানীয় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুব সরকার বলেন, ‘আমার প্যাড জাল করে দুজন প্রার্থী নিজেদের আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে নিয়োগ পায়। আমি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ জানান, নিয়োগ পাওয়া তিন প্রার্থীই ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় প্রকৃত ঠিকানা হচ্ছে: গ্রাম মেথুয়াকান্দা, ইউনিয়ন নোয়াগাঁও, উপজেলা সোনারগাঁ।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ কারণে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে একই পরিবারের তিন ভাই নিয়োগ পেয়েছেন।
এদিকে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে একই পরিবারের তিন ভাই নিয়োগ পাওয়ায় সোনারগাঁয়ের সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার মো. আবু সাইদ নামের এক ব্যক্তি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মাখদুমা নার্গিস প্রথম আলোকে জানান, বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়োগ পাওয়া সারোয়ার হোসেন ও তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা অনুতপ্ত।’ প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment