পান খাইবার নিয়ম হইল
পূর্বাহ্নে সুপারী অধিক দিয়া
মধ্যাহ্নে খয়ের অধিক দিয়া
রাত্রে চুন অধিক দিয়া পান খাইতে হয়
পানে মধ্যভাগ প্রান্তভাগ এবং অগ্রভাগ বাদ দিয়া পান খাইতে হয়
পানের মধ্যভাগে ব্যাধি
প্রান্তভাগে আয়ুক্ষয়
অগ্রভাগ খাইলে পাপ হয়
পানের প্রথম পিক বিষতুল্য
দ্বিতীয় পিক দূর্জর
তৃতীয় পিক সুধাতুল্য বলিয়া উহা খাওয়া উচিৎ
- আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্র মতে
পান হল শরীরের জন্য খুব উপকারী৷ পানে প্রচুর মাত্রায় ক্লোরোফিল থাকে৷ এইজন্য পানের রস ওষুধের মত কাজ করে৷ পান বিভিন্ন রকমের হয়৷ মিঠা পাতি, মালবী, মাদ্রাসি, বেনারসী, কর্পুরী প্রভৃতি৷
পানের উপকারিতা
* পান পাচন শক্তি বাড়ায়৷
* গলার সমস্যায় পান খুব উপকারী৷ আওয়াজ পরিস্কার করতে পান সাহায্য করে৷
* রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করতে পান সাহায্য করে৷
* পান খেলে মুখের স্বাদ ফিরে আসে৷
* হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রন করে পান৷
* পান খেলে পেট পরিস্কার হয়৷
* সর্দি কাশি হলে পানের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷
* পানের সঙ্গে গোলমরিচ, লবঙ্গ মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়৷
* মুখে ঘা হলে পানের মধ্যে কর্পুর দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে বার বার পিক ফেললে লাভ পাওয়া যায়৷
* পান খাওয়ার ফলে মুখে যে লালার সৃষ্টি হয় তা পাচন শক্তি বৃদ্ধি করে৷
পান খাওয়ার সময় কি কি বিষয় নজরে রাখবেন?
* পানের সঙ্গে জর্দা মিশিয়ে খেলে পানের সন গুন নষ্ট হয়ে যায়৷
* সব খাওয়ার পরে পান খাওয়া উচিত৷ খালি পেটে পান খাওয়া উচিত নয়৷
* তবে বেশী পান খেলে মুখ এবং চোখের রোগ হতে পারে৷
* পানের সঙ্গে বেশী সুপারী খাবেন না৷
* পানের সঙ্গে বেশী খয়ের খেলে ফুসফুসে ইনফেকশান হয়৷
* পানে বেশীমাত্রায় চুন খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়৷
* যাদের জ্বর এবং দাঁতের সমস্যায় ভোগেন তাদের পান খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত৷
* পান উষ্ণ এবং পিত্তকারক৷ শিশুরা এবং অন্তঃস্বত্ত্ব মহিলাদের পান খাওয়া উচিত নয়৷
পান - ইহা রুচিকারক, রক্ত পিত্তজনক, বলকারক, কামভাব বর্ধক, ঘা বর্ধক, কফ নাশক, রাতকানা নাশক, বায়ু নিবারক, মুখ দূর্গন্ধ নাশক।
ছাঁচি পান - সুপথ্য, রুচি বর্ধক, অগ্নিদীপক, পাচক ও কফ বাত নাশক
সুপারী - কফ দুর করে, পিত্তের দোষ নষ্ট করে, মদকারক, অগ্নিবর্ধক, রুচিকারক, মুখের নিরসতা নাশক। কাঁচা সুপারী দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে, পেটের অগ্নি নষ্ট করে, ত্রিদোষ নাশ করে।
সাদা জর্দা বা তামাক পাতা কোন গুন পাওয়া যায় নাই।
চুনা - ( যে চুন পানের সহিত খাওয়া হয়) মনে রাখিতে হইবে যে, পাথর চুনা শরীরের ক্যালসিয়াম অর্থাৎ শক্তিক্ষয় করে, জীবনী শক্তি নষ্ট করে, পাকস্থলীর শক্তি নাশ করে, এইজন্য কোন মতেই পাথর চুনা খাওয়া উচিত নহে।
ঝিনুক চুনা ও শামুক চুনা - শরীরের প্রভূত উপকার সাধন করিয়া থাকে
ঝিনুক চুনের গুন - এই চুন বাত, শ্লেষা, মেদো রোগ, অম্ল পিত্ত শূল, গ্রহনী, ব্রণ ও ক্রিমি রোগ নষ্ট করে। ৮ তোলা চুন দশ সের পানির মধ্যে দুই প্রহর ভিজিইয়া রাখিলে, সেই পানির সহিত দুধ মিশ্রিত করিলে মধু মেহ রোগ প্রশমিত হয়। ইহা অম্ল পিত্ত ও শূল রোগের পথ্য ও ঔষধ। ঝিনুক চুনের মধ্যে মুক্তার গুন পাওয়া যায়।
খয়ের - দাঁতের জন্য হিতকর। ইহা কুন্ড, কাশ, অরুচি, মেদো দোষ, ক্রিমি, প্রমেহ জ্বর, ব্রণ, শ্বিত্র, শোথ, আম দোষ, পিত্ত, রক্ত দোষ, পান্ডু, কুষ্ঠ, কফ রোগ, অগ্নিমান্দ্য, অতিসার ও প্রদর নাশক।
আসুন আমরা সবাই পান খাই
source somewhereinblog.net, raja moshay
0 comments:
Post a Comment